ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দশ বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সূচক বাজেটে করপোরেট কর হার কমেছে

নতুন উচ্চতায় শেয়ারবাজার

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১২ জুন ২০২১

নতুন উচ্চতায় শেয়ারবাজার

অপূর্ব কুমার ॥ নতুন উচ্চতায় পৌঁছছে দেশের শেয়ারবাজার। করোনা অতিমারীর মধ্যেও দীর্ঘ এক দশক পর নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন রেকর্ড গড়ছে শেয়ারবাজারটি। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর বাড়ায় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও উল্টোদিকে চমক দেখাচ্ছে খাতটি। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ায় প্রধান শেয়ারবাজারের লেনদেন বিগত ১০ বছরের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছছে। একইভাবে লেনদেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সার্বিক সূচক। শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগ টানতে উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে লভ্যাংশ হিসেবে পড়ে থাকা ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যবহারে বিশেষ তহবিল গঠন, দেশের বাইরে রোড শো আয়োজন এবং মার্জিন ঋণের সুদ হার বেঁধে দেয়া, নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়াতে ৩০টি নতুন ট্রেকের সনদ প্রদানসহ নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২১-২২ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে কোম্পানির কর্পোরেট করহার কমানো এবং কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় আগামীতে শেয়ারবাজার রেকর্ডের পর রেকর্ড করবে এমনটিই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিগত ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাবের সময় লেনদেন হু হু করে বাড়ছিল। ওই সময়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন প্রায়ই আড়াই হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হচ্ছিল। প্রায় দশ বছর আগের কাছাকাছি চলে গেছে এখনকার লেনদেন। গত ৯ জুন সেই রেকর্ডের খুব কাছাকাছি গেল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বুধবার ডিএসইতে মোট ২৭শ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর ডিএসইতে বুধবারের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। গত বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার বুধবার ডিএসইতে গত সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে একদিনে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। গত বুধবারে ১০ বছরের সর্বোচ্চ লেনদেনের পরদিন বৃহস্পতিবারে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর সূচক সামান্য বেড়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পৌঁছছে ৪০ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে। আগের দিনের চেয়ে এদিন শেয়ার কেনাবেচা কিছুটা কমায় লেনদেনে আর নতুন রেকর্ড হয়নি। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৬৬ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সূচক প্রায় ৪০ মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি সূচক ছিল ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে। ২০১০ সালের পতনের পর বাজার কয়েকবার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল কিন্তু সেটি স্থায়ী হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ারবাজারে আস্থা ফেরাতে নানা উদ্যোগ হাতে। যখন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেন, তখন লকডাউন চলার কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করা হয়। শুরুতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা থাকলেও আস্তে আস্তে তা কেটে যায়। শুরুতে বীমা খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়লেও এখন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সব খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। এই সুযোগে বিগত কমিশনের আমলে দরপতন রুখতে শেয়ারের দর কমার সর্বনি¤œ হার বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইসও দুই ধাপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পরও কোম্পানিগুলোর দর বাড়ছে। একইসঙ্গে যেখানে প্রতিদিনের লেনদেন কমিশনের শুরুতে ৩০০ কোটির ঘরে ছিল তা বাড়তে বাড়তে চলতি মাসে ২৭শ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। প্রতিদিনই শেয়ারবাজারে নতুন টাকা ও বিনিয়োগকারীরা আসছেন। বাজেট ঘোষণার পরদিন শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়া যদি লাভজনক হয়, তাহলে অব্যাহত রাখার জন্য আলোচনা করা হবে। অপ্রদর্শিত অর্থের খারাপ ভাল দুটিই আছে। মন্দ দিক হচ্ছে, এ টাকাটা কোন সিস্টেমে নাই, আমরা ব্যবহার করতে পারি না। আর যদি এটি প্রদর্শিত আয় হয়ে ঘুরে আসে তাহলে অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবেÑ এটা ভাল দিক। অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তাহলে বহাল থাকছে। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটে ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে জমি, ভবন ও এ্যাপার্টমেন্টের পাশাপাশি নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, বন্ড ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ ছিল। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০২০-২১) কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছিল সরকার। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ হাজার ৬২৩ জন করদাতা অপ্রদর্শিত সম্পদ রিটার্ন প্রদর্শন করে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৭৯৫ টাকা আয়কর দিয়েছেন। যে কারণে করোনাকালে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজি প্রবাহ বেড়েছে। আর পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১ বছর লক-ইনসহ কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। ওই অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩১১ জন ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করে ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৮ টাকা আয়কর পরিশোধ করেছেন। এর ফলে দেশের পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বেড়েছে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ এবারের বাজেটে বহাল রাখা উচিত বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন, দেশে অপ্রদর্শিত অর্থ ও কালো টাকা- এ দুটোই রয়েছে। কিন্তু এ দুটি বিষয় ভিন্ন। দেশে যদি কালো টাকা ও অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের জায়গা না থাকে, তখন ওই টাকা দেশের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই আমরা চাই এ টাকা বিদেশে চলে না গিয়ে যদি দেশেই থাকে, তাহলে অর্থনীতির জন্য ভাল হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মোঃ রকিবুর রহমান বলেন, অপ্রদশিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোন শর্ত দেয়া যাবে না। গত অর্থবছর অপ্রদশিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এক বছরের শর্ত দেয়া ছিল। তাই এবার আমরা ওই শর্ত প্রত্যাহার করে শেয়ারবাজারে অপ্রদশিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।’ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে দীর্ঘদিন দাবিহীন পড়ে থাকা লভ্যাংশের বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যবহারের সুযোগ তৈরিতে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১’ দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড রুলস, ২০২১ কয়েকদিনের মধ্যেই বিজি প্রেসে চলে যাবে। বিএসইসি কয়েক মাস আগে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল নামে বিশেষ এই তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয়। এর উদ্দেশ্য তারল্য সঙ্কটে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির বিপুল পরিমাণ অবণ্টিত অর্থ বিনিয়োগে আনা। গত ৩ মে নিয়মিত সভায় এই তহবিল গঠনের বিধান অনুমোদন করা হয়। এই তহবিল গঠিত হলে আগামীতে শেয়ারবাজারে লেনদেন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কর্পোরেট করহারে ছাড় দেয়ার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উৎপাদনমুখী শিল্পখাতের কোম্পানির করহার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ পয়েন্ট কমানোর প্রস্তাব করেছেন। চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ কর্পোরেট কর কমানো হয়, তবে তা ছিল শুধু পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। অর্থমন্ত্রীর নতুন প্রস্তাবের ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার সাড়ে ৩২ থেকে কমে ৩০ হবে। অন্যদিকে পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫ থেকে কমে সাড়ে ২২ হবে। বর্তমানে কোম্পানির কর কাঠামোতে আটটি স্তর রয়েছে। ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, মোবাইল ফোন কোম্পানি, সিগারেট কোম্পানিসহ বাকি ছয় স্তরের কর্পোরেট করে কোন পরিবর্তন হবে না। তবে এক ব্যক্তির কর্পোরেট করহার সাড়ে ৩২ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন মুস্তফা কামাল। শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচার করা জন্য নতুন ৩০টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) অনুমোদন দেয় (বিএসইসি)। ডিএসইর সদস্য হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে লেনদেনের সনদ পাবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি শেয়ার কেনাবেচার করা জন্য ৩০টি ব্রোকারেজ হাউস দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রস্তাবিত মোট ৫৪টি ট্রেকের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় ৩০টি ট্রেকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে ডিএসইর সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০টি। নতুন ট্রেকের লেনদেন শুরু হলে আগামীতে লেনদেন আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে সূচক ও লেনদেনের যে গতি দেখা যাচ্ছে তাতে খুব দ্রুতই সূচক ও লেনদেনে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে। এ মুহূর্তে বিনিয়োগকারীদের বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ না করে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সচেতনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে অর্থনৈতিক সূচকগুলো পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক। তারই প্রভাব দেখা যাচ্ছে শেয়ারবাজারে। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ভালভাবে তথ্য যাচাই করে বিনিয়োগ করতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ বখতিয়ার হাসান বলেন, বর্তমানের সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। সুদের হারও বেশ কম। স্বাভাবিকভাবেই এর একটি ইতিবাচক প্রভাব শেয়াবাজারে পড়ছে। তবে এটিও মনে রাখতে হবে শেয়ারবাজারে উত্থান ও পতন উভয়ই থাকবে। টানা পতন যেমন ভাল না তেমনি টানা উত্থানও বাজারের জন্য খুব পজিটিভ না।
×