ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফের বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী সুজন

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ১২ জুন ২০২১

ফের বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী সুজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আবার বিয়ে করেছেন। গত ৫ জুন তিনি পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। কনে শাম্মী আক্তারেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। কনে পেশায় আইনজীবী। ৬৫ বছর বয়সী এই মন্ত্রীর একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র বিয়ে নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য মন্ত্রী নিজেও আনন্দের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি যে ইতোমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন তা জানাননি। গণমাধ্যমকে হাসতে হাসতে বলেছেন, এখন চাঁদ উঠবে উঠবে করছে। তবে কনের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৫ জুন পারিবারিকভাবে তার বোন ও রেলমন্ত্রীর বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। এর আগের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। চিরকুমার সংঘের সদস্য এই রাজনীতিকের ওই বিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। এবারও এই প্রবীণ রাজনীতিক মুজিবুল হক রেলমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে রেলমন্ত্রী তার স্ত্রীকে হারান। সেই থেকে বিপত্নীক বর্তমান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গত ৫ জুন দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। ইতোমধ্যে রেল মন্ত্রীর বিয়ের খবর গণমাধ্যমেও চলে এসেছে। শাম্মীর বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা। তবে থাকেন রাজধানীর উত্তরায়। চাকরি করতেন ঢাকায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজে। চাকরির পাশাপাশি আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করতে থাকেন শাম্মী। একপর্যায়ে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে কাজও করতে থাকেন। মন্ত্রী নিজেও একজন আইনজীবী। সুপ্রীমকোর্টে তার নামডাকও আছে বেশ। আর তার কাছ থেকে অভিজ্ঞ পরামর্শ নিতে গিয়ে দেখা দু’জনের। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। দিন বিশেক আগে পরিচয় দু’জনের। মন্ত্রী তার জীবন সঙ্গিনীকে হারিয়েছেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে। আর শাম্মীও বিচ্ছেদের পর থেকে একা। পরস্পরকে ভাল লেগে যায়। আর একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন হাতে হাত রাখার। এই বয়সে উদ্দাম প্রেম তো মানায় না। তাই বিয়েটাও হয়ে গেল কদিন যেতে না যেতেই। গত ৫ জুন ঢাকার হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারী বাসভবন তন্ময়ে পারিবারিকভাবেই হয় বিয়ে। বিয়েতে ছিলেন মিলন নিজেও। বরপক্ষে ছিলেন বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনেপক্ষে মিলন ছাড়াও ছিলেন তার আরেক ভাই। কনে শাম্মী আক্তারের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয় পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। আইনী বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় সে। আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে হয়।’ বিয়ের মধ্যস্থতা করেছেন বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী টুটুল। তিনি বলেন, ‘আলোচনা ঢাকায় ওরা শুরু করেছে। কিন্তু আমি মেয়ের পক্ষ থেকে ঘটকের দায়িত্ব পালন করেছি।’ তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তখন মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে ঘটকের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছিল। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।’ শাম্মীর বাবার বাড়ি বিরামপুর উপজেলা নতুন বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শাম্মী আক্তার মেজো। বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) লাইনম্যান পদে চাকরির সুবাদে আব্দুর রহিম বিরামপুরে আসেন। তারপর সেখানে নতুন বাজার এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করে স্থায়ী হন। নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বিশিষ্ট আইনজীবী ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড়ে। শাম্মী আক্তারেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে। শাম্মীর ভাই মিলন জানান, কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল তার বোনের। কিন্তু বনিবনা হয়নি। ২০১১ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন শাম্মী। চাকরির পাশাপাশি আইন পেশায় নিজেকে তৈরি করতে থাকেন।
×