ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ার শেরপুরে ৯ কিমি সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ১২ জুন ২০২১

বগুড়ার শেরপুরে ৯ কিমি সড়ক বেহাল

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ার শেরপুর থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কের একেবারে বেহাল অবস্থা। বর্ষায় এই সড়কে চলাচল রুদ্ধ হওয়ার শঙ্কা। এখনই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। ইট খোয়া বের হয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন গর্ত ডোবার মতো। দুর্ঘটনার ফাঁদ তৈরি হয়েছে। আশপাশের দশ গাঁয়ের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ এবড়ো খেবড়ো হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদের যাওয়ার এই একটিই পথ। ঘুর পথে দুই ঘণ্টা লাগে পৌঁছাতে। এ ছাড়াও এই রস্তাটি নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরে পৌঁছার বিকল্প পথ। জাতীয় মহাসড়কের ধারে শেরপুর উপজেলা সদরের কলেজ রোড থেকে আঞ্চলিক সড়কটি ধুনট উপজেলা এলাকা হয়ে সিরাজগঞ্জের গ্রামে পৌঁছেছে। পথের উল্লেখযোগ্যে স্থানগুলো হলো-বনমরিচা, বাগড়া কলোনী, গোসাইবাড়ি, টুনিপাড়া, কেল্লা, তাজপুর, চন্ডেশ্বর, আলতাদীঘি, লক্ষ্মীকোলা, মুরাদপুর। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের আশপাশে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি বড় হাট, দুইটি বাজার ও সরকারী বেসরকারী কয়েকটি অফিস আছে। যান্ত্রিক যানবাহন (বাস, সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, অটোভ্যান, ইজিবাইক) এই সড়ক পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগতো। এখন প্রায় তিন ঘণ্টা সময় নেয়। যানবাহনগুলো থেমে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। গত এক এক বছরে ছোট বড় অন্তত ৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীকে নানা প্রয়োজনে এই ভাঙ্গাচোড়া পথেই চলতে হয়। অনেক সময় সিএনজিচালিত অটো রিক্সা চলতে চায় না। এক চালক বললেন, একবার আপডাউন করলে গাড়ির যন্ত্রের ক্ষতি হয়। হর হামেশাই মেরামত করতে হয়। গাড়ির আয়ু কমে যায়। এলাকাবাসীর ক’জন বললেন এভাবেই চলতে হচ্ছে। গাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের কথা, ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ি চালালে যে ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে নেয়া হয় ভাড়া বাড়িয়ে। লোকজন বেশি ভাড়া মেনে নিয়েছে। তাদের কথা বলার উপায় নেই। প্রয়োজন তাদের। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে জরুরী রোগীদের। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছার উপায় নেই। সময় বেশি লাগছে। প্রসূতিদের হাসপাতালে নিতে যারপর নেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে এলাকাটি কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখে। তিন ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন বেশি। দূরের হাট বাজারে পণ্য বিক্রি করার পরও পরিবহনের অত্যধিক ব্যয়ের কারণে কৃষক বঞ্চিত হচ্ছে। মূল অর্থ রাখতে পারছে না। রাস্তার কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে। কুসুম্বি ইউনয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্না বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তার এলাকার মধ্যে সড়কে আধলা ইট খোয়া দিয়ে গর্ত ভরাট করে দিচ্ছেন। যা কোন রকমে চলাচলের উপযোগী। উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২০১৪ সালে কলেজ রোড থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত পাকা সড়ক সংস্কার করা হয়েছিল। সড়কটি মেরামতে ওপর মহলে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত বরাদ্দ আসবে।
×