ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তি ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আদর্শ অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১২ জুন ২০২১

প্রযুক্তি ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আদর্শ অস্ট্রেলিয়া

তারামুম সবনম ॥ বিদেশে উচ্চ শিক্ষা করার জন্য গন্তব্য নির্বাচন করা সহজ নয়। কারণ, পৃথিবীতে উচ্চ শিক্ষার অনেক গন্তব্য রয়েছে এবং সেগুলোর থেকে একটি গন্তব্য নির্বাচন করা অনেক কঠিন। বর্তমান মহামারী পরিস্থিতিতে বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য গন্তব্য নির্বাচন করা আগের থেকেও অনেক বেশি চিন্তার বিষয়। এই মহামারী সময়কালেও যে কেউ অনায়াসে অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নিতে পারেন। স্বভাবতই এই প্রশ্ন হতে পারে যে এই মহামারী পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়াকে কেন উচ্চ শিক্ষা গন্তব্য হিসেবে নির্বাচন উচিত? এই বিষয়ে আমাদেরকে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে জানিয়েছেন PFEC Global Chief Executive Officer (CEO) এবং অস্ট্রেলিয়ার Registered Migration Agent মোঃ শাহিদুল ইসলাম। অস্ট্রেলিয়াকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বেছে নেয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তবে মোঃ শাহিদুল ইসলাম ৪টি প্রধান কারণ নিয়ে জনকণ্ঠের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রথমেই তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়ার ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ১০০ worldwide university তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও ছঝ র‌্যাঙ্কিং অনুসারে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ ২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া নতুন ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় একই র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৫০-এর অধীন ৫০-এ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ The University of Adelaide-এর কথা বলা যায়, যা আজ অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুনামের বিষয়ে প্রমাণ করার মতো আর কিছু নেই, The group of eight হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ৮টি মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত। এটি সাধারণত দেশের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়, যা গবেষণা এবং উদ্ভাবনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করে। এই আটটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব জুড়ে শিক্ষার্থীদের একটি উচ্চমানের এবং প্রথম শ্রেণির শিক্ষা প্রদান করে আসছে। র‌্যাঙ্কিং ও পড়াশোনার মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের প্রতিফলিত করতে পারে। তবে, কোর্সের মান মূল্যায়ন করা যাবে কিভাবে? এর উত্তরে তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়ার বিজনেস স্কুল এবং ব্যবসায়িক প্রোগ্রামগুলোর জন্য বিভিন্ন অনুষদ, প্রোগ্রাম এবং স্কুলগুলোতে যেমন AACSB, Equis, AMBA ইত্যাদির জন্য অনেক স্বীকৃতি রয়েছে। The Engineering schools are signatory to Washington Accord which makes অস্ট্রেলিয়া graduates to employable anywhere in the world. আপনি যদি পরীক্ষা করেন, আপনি দেখতে পাবেন যে বিভিন্ন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক কোর্স এক বা একাধিক স্বীকৃতি দ্বারা যোগ্যতা অর্জন করে, যাতে দেখা যায়, যে অনেক অস্ট্রেলিয়ান প্রোগ্রামগুলো ভাল মানের। অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলোর ক্ষেত্রে, অস্ট্রেলিয়া সর্বস্তরে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম সরবরাহ করে। আপনি ব্যবসা, প্রকৌশল, বিজ্ঞান, ইনফরমেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্স, বা চারুকলা যে সম্পর্কেই আগ্রহী হোন না কেন, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনাকে পাঠ গ্রহণের সুযোগ করে দেবে এবং এর দ্বারা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বুঝতে পারা যায়। এ ছাড়াও বেশিরভাগ কোর্সে Anglo-Saxon মডেল অনুসরণ করে, যার অর্থ আপনার কাছে কয়েক ঘণ্টা পাঠ এবং আর বাকি সময় ব্যক্তিগত বা গ্রুপ কাজ করার জন্য সময় পাবেন। আরও কী, অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হ্যান্ডস-অন দক্ষতার দিকে মনোযোগ দেয়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মহামারী সময়কালে অস্ট্রেলিয়া এখনো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত রেখেছে। মহামারী সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার বন্ধ থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চ শিক্ষা অনলাইনের মাধ্যমে চালিয়ে যেতে পারছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়েই একটি সেমিস্টারে শুধু একটা কোর্স নেয়ার সুযোগ রয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ার চাপ অনেকটাই লাঘব হচ্ছে। কিন্তু এখন তারা তার পরিবারে সঙ্গে থেকেই অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধরণা গ্রহণ করতে পারছে যা তার জন্য মানুষিক সাহস তথা সমথর্ন জোগাচ্ছে। তৃতীয় কারণ হিসেবে তিনি বলেন অস্ট্রেলিয়ায় দুই বছর উচ্চ শিক্ষার পরে, আপনি পোস্ট স্টাডি ওয়ার্কভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন যা আপনাকে অঞ্চল ভেদে চার বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ দেয়। বাস্তব জীবনে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এটি একটি সুন্দর সম্ভাবনা। সর্বশেষ কারন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। মহামারী সময় কালে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়া হতে পারে উত্তম গন্তব্য PFEC Global অনেকগুলো অস্ট্রেলিয়া University এর সঙ্গে partnership স্থাপন করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য PFEC Global সর্বদা সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। PFEC Global এর কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে শুরু হয়ে বর্তমানে সিডনি, এ্যাডিলেড, পার্থ ও ব্রিসবেন, ডারউইনে বিস্তৃত। বাংলাদেশে ২০১৩তে আমরা কাজ শুরু করি চট্টগ্রাম এবং ঢাকাতে। মূলত অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউকে, ইউএসএ এবং মালয়েশিয়াতে উচ্চ শিক্ষার বিষয়ে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও অন্যান্য পদক্ষেপে সহযোগিতা করছি। আমাদের সেবাগুলো হলো-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে দেয়ার ব্যাপারে সহায়তা প্রদান, এ্যাপ্লিকেশন প্রসেসিংয়ে সহায়তা এবং কাগজপত্র গোছানোর নির্দেশনা এবং ভিসার আবেদন জমাদানে সহায়তা করা, কোন ধরনের সার্ভিস চার্জ ছাড়াই। মোঃ শাহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য তিনি PFEC Global-এর সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম উল্লেখ করে বলেন, ‘বিদেশে উচ্চ শিক্ষার যে কোন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের PFEC Global-এর বাংলাদেশে অবস্থিত অফিস সাহায্য করে থাকে। হটলাইন : +৮৮০৯৬১২৮০০৩০০, +৮৮০৯৬১২৮০০৪০০, ফেসবুকে https://www. facebook. com/PFEC. Studyabroad/ ওয়েবসাইট : https://www.pfecglobal.com.bd/
×