ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা

নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১১ জুন ২০২১

নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আশপাশে চারিদিকে তাকিয়ে দেখবেন- আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চলাফেরা, দেখবেন তারা রাতারাতি সব আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। এদের হাতে যদি দেশ বেশি দিন থাকে তাহলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। ছোট বেলা আমরা পড়তাম, ‘ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে।’ এই সেই বর্গী এরা। এদের ভয়ে সব পালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান আমাদেরই ঘটাতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তাহলেই আমরা সফল হতে পারব। ফখরুল বলেন, এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। এ সরকার কাউকে কোন কথা বলতে দেবে না। কথা বললেই ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট, অফিসিয়াল সিক্রেসি এ্যাক্ট। আর বেশি কথা বললে আমাদের নিপুণ রায় চৌধুরীর মতো একটা অডিও ক্লিপ তৈরি করে মামলায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এ রকম নজির অসংখ্য। সাংবাদিক ভাইয়েরাও কিছু শক্ত করে লিখতে পারে না। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এখন আর সময় নেই। আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য নিজেদের তৈরি করে ফেলেন। সবাই আমরা শক্ত হয়ে দাঁড়াই, নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে আমরা জনগণকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসি। আসুন সবাই মিলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করি। দাবি একটাই- ‘চলে যাও, চলে যাও, দেশকে রেহাই দাও, রেহাই দাও।’ সরকারকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। তা না হলে দেশের মানুষ কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয় তা জানে। তাই আশা করব অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সরকার। বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন এমপি কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদে বলেছেন, বড় চোরদের চুরি দেখে ছোট চোররা এখন লজ্জা পাচ্ছে। করোনা মানুষের জীবন নিয়ে যাচ্ছে, সেখানেও তারা চুরি করছে। টেস্টে চুরি, মাস্কে চুরি, পিপিইতে চুরি, ডাক্তার-নার্সদের টাকা দেয়ার বেলায় চুরি, আইসিইউ বেডে চুরি। এভাবে একটা হাসপাতালও উধাও হয়ে গেছে। আবার নতুন করে একটা হাসপাতাল তৈরি করবে, আবার ওখানে চুরি করবে, আবার কমিশন নেবে। আর ওই টাকা পাঠাবে কানাডা, মালয়েশিয়া, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বক্তৃতাবাজি করে আর সময় নষ্ট করা যাবে না। এবার এ্যাকশনে যেতে হবে। আজকে দলের নেতাকর্মীরা জেলখানায়, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বন্দী অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে। এখন কথা বলার চেয়ে বেশি জরুরী সরকারের পতন কিভাবে করাব। সেই পতনের ডাক দেন, সেই আন্দোলনের ডাক দেন। আমরা অতীতের মতো আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি করব। আন্দোলনের মাধ্যমেই তা করতে হবে। সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
×