ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১১ জুন ২০২১

ঝলক

কুমিরের মুখে ঘুষি! কুমিরের মুখ থেকে বোনকে বাঁচিয়ে রীতিমতো তারকা বনে গেছেন ব্রিটিশ নারী জর্জিও লঁরা। ২৮ বছর বয়সী এই নারী তার যমজ দুই বোন মেলিসা ও হানাকে নিয়ে মেক্সিকোতে সম্প্রতি ছুটি কাটাতে যান। দেশটির পুয়োর্তো এসকনদিদো শহরের এক হ্রদে গোসল করতে নামেন তারা। জর্জিও মনের আনন্দে সাঁতার কাটছিলেন। হঠাৎ মেলিসার কান্নার শব্দ শুনতে পান। পেছন ফিরে দেখেন মেলিসাকে কুমির টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মেলিসার মুখ পানিতে ডুবে যাচ্ছে। উপায়ান্তর না দেখে কুমিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন জর্জিও লঁরা। কুমিরের মুখে অনবরত ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে কুমিরটি মেলিসাকে ছেড়ে দিয়ে গভীর পানিতে চলে যায়। এরপর দুই বোনকে নৌকায় তুলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন জর্জিও লঁরা। হাসপাতালে নেয়ার পর তার জ্ঞান ফেরে। হানা বলেন, কুমিরের সঙ্গে আমার বড় বোনের লড়াই সত্যিই ভয়ঙ্কর ছিল। আমাদের কঠিন শিক্ষা হয়েছে। আমার বড় বোন যেভাবে কুমিরটিকে পরাস্ত করেছে তা শুধু সিনেমাতেই দেখা যায়। এরপর মেক্সিকোর ব্রিটিশ দূতাবাস তাদের পাশে দাঁড়ায়। গার্ডিয়ান অবলম্বনে ডেঙ্গু দমনে দুর্দান্ত সাফল্য ডেঙ্গু মশা দমনে সহজ একটি কৌশল ব্যবহার করে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় দেখা গেছে একটি কৌশল ব্যবহার করে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য তারা ‘অলৌকিক’ ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত কিছু মশা ব্যবহার করেছিলেন, যা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশার ক্ষমতাকে হ্রাস করে। ডেঙ্গু ভাইরাসকে সমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে ইন্দোনেশিয়ার ইয়োগাকার্টা শহরে এই পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম টিমের তরফে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছেয়ে গেছে এমনও কোন ভাইরাসের বিনাশ সম্ভব হতে পারে। ৫০ বছর আগে খুব কম মানুষই ডেঙ্গু সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ১৯৭০ সালে মাত্র ৯টি দেশ মারাত্মক ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন হয়। কিন্তু এখন এর সংক্রমণ বহু গুণে বেড়েছে। ডেঙ্গুকে ‘ব্রেক-বোন ফিভার’ও বলা হয়ে থাকে। কারণ এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তিরা পেশী ও হাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ইন্দোনেশিয়ার এই ট্রায়ালে ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত মশা ব্যবহার করা হয়। গবেষক ডাঃ কেটি এ্যান্ডার্স এই মশাগুলোকে ‘প্রাকৃতিকভাবে অলৌকিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, মশাগুলোকে ছেড়ে দেয়ার পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ শতাংশ কমেছে। এখন ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত মশা শহরজুড়ে আরও ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। -বিবিসি অবলম্বনে
×