ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সবাই টিকা দেবে বলে, কিন্তু হাতে আসছে না

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ১০ জুন ২০২১

সবাই টিকা দেবে বলে, কিন্তু হাতে আসছে না

অনলাইন ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার ঘাটতি পূরণের জন্য বিভিন্ন দেশকে টিকা পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সবাই টিকা দেবে বলে। কিন্তু হাতে আসছে না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ তথ্য জানান। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদের অনুরোধ জানালাম। পরে জানা গেল, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা কম বলে যে দেশগুলোতে টিকা দেওয়া হবে তার অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশ নেই। পরে অবশ্য আমরা জেনেছি আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স থেকেও দেবে সেটা বলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’ এদিকে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন দেশে যে টিকা দিচ্ছে, তাতে অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উপহারের এই টিকা বাংলাদেশে আসবে। করোনার টিকা সর্বজনীন করার ওপর গুরুত্ব দেন আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে, টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হিসেবে গণ্য হয়। আর সব দেশের লোকের তা বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র শূন্য দশমিক তিন শতাংশ আছে গরিব দেশগুলোর কাছে। এ জন্য টিকা নিয়ে হাহাকার। কেউ টিকা পাচ্ছে না। আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট এসেছে। অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। আমরা তাদের টিকা দেওয়া জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে। কিন্তু হাতে আসছে না।’ করোনা বাংফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। তারা আমাদের বড় বন্ধু। অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, করোনাকালে আমরা অনেক দেশকেই সহযোগিতা করেছি। তবে সেটা করেছি সরকার থেকে। আর ফিলিস্তিনকে সরকার ও জনগণ সহায়তা করছি। ফিলিস্তিনকে আমরা স্বীকৃতি দেইনি। আমরা দুই রাষ্ট্রীয় নীতিতে এর সমাধান চাই। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে ১৪শ কেজি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
×