ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে ২টি হরিণ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১০ জুন ২০২১

দৌলতপুরে ২টি হরিণ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কল্যানপুর চরদিয়াড় এলাকার কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফ থেকে ২টি হরিণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে একজন আটক হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই পীরের দরবার শরীফ থেকে হরিণ দু’টি উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় শের খান নামে দরবার শরীফের কথিত তাছের পীরের শ্যালককে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সহ বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কল্যানপুর দরবার শরীফে অভিযান চালানো হয়। এঘটনায় দরবার শরীফের পীর তাছের সহ দু’জনের নামে মামলা দায়ের করেছে বন বিভাগ। বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কল্যানপুর দরবার শরীফের ভেতরে অবৈধভাবে ২টি হরিণ আটক করে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় দরবার শরীফের ভেতর থেকে হরিণ দু’টি উদ্ধার করা হয় এবং আটক করা হয় শের খান নামের একজনকে। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১৭ ধারায় কল্যানপুর দরবার শরীফের পীর তাছের সহ দু’জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় শের খান গ্রেফতার হলেও পলাতক দেখানো হয়েছে দরবারের কথিত পীর তাছের কে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাছের পীরের দরবার শরীফ থেকে দু’টি হরিণ উদ্ধার করে বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার জানান, কল্যানপুর দরবার শরীফের মধ্যে হরিণ আছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দু’টি হরিণ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে মোবাইল চুরির অভিযোগে কল্যানপুরে কথিত পীর তাছেরের ওই দরবার শরীফের ভেতরে রাশেদ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের হরিনগাছী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার হলেও অজ্ঞাত কারণে মামলার অন্যতম হুকুমদাতা প্রধান আসামি কল্যানপুর দরবার শরীফের কথিত পীর তাছের সহ এজাহার নামীয় অপর আসামি সুজন, সালাম ও কালাম গ্রেফতার হয়নি।
×