ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর ॥ সঞ্চয়পত্র ও মুনাফায় যেসব পরিবর্তন এসেছে

প্রকাশিত: ২২:১০, ৬ জুন ২০২১

টুকরো খবর ॥ সঞ্চয়পত্র ও মুনাফায় যেসব পরিবর্তন এসেছে

বাংলাদেশে সকল শ্রেণী-পেশার সচ্ছল মানুষের কাছে সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা বিনিয়োগের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। এ ধরনের লাখ-লাখ পরিবার আছে যারা সঞ্চয়পত্র থেকে অর্জিত মুনাফা দিয়ে তাদের পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করেন। সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা সাধারণ মানুষের কাছে একটি বিনিয়োগ হলেও সরকারের জন্য এটি ঋণ। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ করলেও এই ঋণের সুদ দিতে হবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, প্রতিবছরই দেখা যায় যে তার বিক্রির পরিমাণ অনেক ছাড়িয়ে যায়। ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে লাগাম টেনে ধরতে এবং সেখান থেকে সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য গত কয়েক বছরে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র শুধু বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতাধীন সঞ্চয় ব্যুরো থেকে ক্রয় করা যাবে। অন্য কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এটি ক্রয় করা যাবে না। দুই সপ্তাহ আগে এই পরিবর্তন এনেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। ছয় মাস আগে চালু করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সব ধরনের সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে যেকোনো একটি স্কিমে ৩০ লাখ টাকার বেশি কিনতে পারবেন না। এর অতিরিক্ত যৌথ নামে আরো ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হবার আগে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে আলাদাভাবে বিনিয়োগ করা যেত। কারণ কেউ যদি ক্রয়ের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করতো তাহলে সেটি চিহ্নিত করার উপায় ছিল না। কিন্তু এখন সেটি করা যাবে না। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে মুনাফার উপর উৎসে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ। এর বেশি সঞ্চয়পত্র থাকলে উৎসে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। পাঁচ বছর মেয়াদি এবং তিন মাস অন্তর মুনাফা-ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র সব শ্রেণী ও পেশার নাগরিক ক্রয় করতে পারবেন। অন্যদিকে পরিবার সঞ্চয়পত্র সবার জন্য নয়। ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী যে কোন নারী এটি কিনতে পারবেন। অর্থনীতি ডেস্ক
×