ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান ঢাবির আন্দোলনকারীদের

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ২৭ মে ২০২১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান ঢাবির আন্দোলনকারীদের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে নতুন কর্মসূচীও ঘোষণা করেছেন তারা। বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফলে ১২ জুন পর্যন্ত নতুন করে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ না হলে ১৩ জুন থেকে সব স্কুল-কলেজ খুলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে পাঠদান শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে করোনার দুই ডোজ টিকা সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীকে দেয়া সম্পন্ন হলে আবাসিক হলযুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর বুধবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান এবং নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এই শিক্ষার্থীরা হল-ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী চলমান ছুটি ১২ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন। আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করলাম। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর চাকরি ও টিউশনও নেই। পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করে তিনি বলেন, এ ছুটি আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করবে। একই সঙ্গে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব উপাচার্য বরাবর এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বর্ধিত করার পেছনে তিনি করোনা পরিস্থিতি ও ভ্যাক্সিনের অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেছেন। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে কল-কারখানা, অফিস, শিল্প প্রতিষ্ঠান; এমনকি গণপরিবহন কোন কিছুই থেমে থাকেনি। এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ আছে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে, ভ্যাক্সিন নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য দায়ী সরকারী নীতি-নির্ধারক ও তাদের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান।
×