ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু ১ সপ্তাহের লকডাউন

প্রকাশিত: ১৩:১২, ২৫ মে ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুরু ১ সপ্তাহের লকডাউন

সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতকাল সোমবার এক সপ্তাহের বিশেষ ‘লকডাউন’ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউন চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। এদিকে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে চলাচলে বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছে সিভিল প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকে জেলা শহরের প্রবেশদ্বার দ্বারিয়াপুর, নয়াগোলা মোড়, বারঘরিয়া, শান্তিমোড়, সিসিডিবি মোড়, বাতেন খাঁ মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান এবং বিভিন্ন স্থানে গাড়ি নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। জরুরী যানবাহন ছাড়া সকল ধরনের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। কাজ ছাড়া কোন যান নিয়ে বের হলে তাদের কৈফিয়ত তলব করতে দেখা গেছে। এদিকে রাস্তাগুলোতে মানুষের চলাচল একেবারে কম দেখা গেছে। কোথাও কোথাও জনমানবশূণ্যও ছিল। আর যারা বের হচ্ছেন তারা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে গুটিকয়েক মোটরসাইকেল, রিকশা চলতে দেখা গেছে। তবে কয়েকজন রিকশা চালক জানান, যাত্রীর খোঁজে বের হলেও তেমন যাত্রী না পাওয়ায় তারা রিকশা চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী না পেলেও কষ্ট নাই, লকডাউনে যেন শিথিলতা না থাকে। এদিকে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। শহরের ২৭টি স্থানে পুলিশ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরে সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। শহরের ২৭টি স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি কোনো কারণ ছাড়া চলাচলকারীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। শহরে পুলিশের টহল টিমও রয়েছে। জেলা শহরের বড় বড় বিপিনী বিতানসহ অন্যান্য সকল দোকান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বনলতা ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বন্ধ রয়েছে বলে জানান সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার ওবায়দুল্লাহ। তবে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান-সংস্থা খোলা রয়েছে। সীমিত পরিসরে দেয়া হচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। লকডাউনে ছাড় রয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ওষুধের দোকান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, দমকল, আদালত, জল, বিদ্যুৎ, কৃষিকাজ, পণ্য চলাচল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া। লকডাউন দেয়ায় অনেক মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
×