ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিভিন্ন মহলের নিন্দা

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৯ মে ২০২১

বিভিন্ন মহলের নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী নথি চুরির অভিযোগে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠন। তারা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এ বিষয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের ক্ষোভ ॥ সচিবালয়ে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে অভিযোগ করে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১ বিশিষ্ট নাগরিক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে রোজিনা ইসলামের আক্রান্ত হওয়ার কারণ তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকা-ের তদন্ত করার দাবি জানান। বিবৃতিদাতা ১১ বিশিষ্ট নাগরিকরা হলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ। তারা বলেন, আমরা মনে করি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। ১১ বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তাও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সঙ্কট মোকাবেলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি। তারা বলেন, মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকের সহযোগিতায় সরকার উপকৃত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম আক্রান্ত হওয়ার কার্যকারণ আরও তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকা-ের তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। বিএফইউজে ॥ প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। সংগঠনের নেতারা তার ওপর নির্যাতনকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তদন্তপূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি করেন। বিএফইউজের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, দফতর সম্পাদক বরুন ভৌমিক নয়ন, নির্বাহী সদস্য শেখ মামুনুর রশীদ, খায়রুজ্জামান কামাল ও সেবিকা রানী এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তারা বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুমে প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। যা আইনের চরম লঙ্ঘন। রোজিনার প্রতি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আচরণ ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। একের পর এক তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। নেতারা বলেন, অবিলম্বে দাবি মানা না হলে বিএফইউজে সারাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচী পালন করবে। ওয়ার্কার্স পার্টি ॥ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে তাকে হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। তারা অফিসিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই অনুসন্ধানী সাংবাদিক সচিবালয়ে হামলার শিকার হলেন, যা অত্যন্ত গর্হিত এবং ন্যক্কারজনক। বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ ২ নেতা বলেন, রোজিনাকে হেনস্তা করার ঘটনা প্রমাণ করে তিনি চরম আক্রোশের শিকার। রোজিনা ইসলাম তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে ছিলেন। তার প্রতিবেদনে করোনাকালীন জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনার চেহারা জনগণের সামনে আসে। তিনি প্রতিবেদনে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন, যাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তার বিষয় সামনে আসে। বিএনপি ॥ রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার ও কারাগারে প্রেরণের নিন্দা জানায় বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাকে একা পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়ভাবে ৬ ঘণ্টা আটক রেখে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। একজন নারী সাংবাদিকের ওপর তাদের এহেন আচরণ লজ্জাজনক ও ক্ষমার অযোগ্য। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সচিব এ ঘটনা জানার পরও কোন পদক্ষেপ নেয়নি, উল্টো সাংবাদিক রোজিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এজন্য তাদের পদত্যাগ করা উচিত। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ॥ প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের খবর স্থান পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই সাংবাদিকের প্রতি হেনস্তা ও হয়রানিমূলক গ্রেফতারের খবর। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনার গ্রেফতারের খবরের শিরোনাম ছিল ‘ইধহমষধফবংয ধৎৎবংঃং লড়ঁৎহধষরংঃ শহড়হি ভড়ৎ ঁহবধৎঃযরহম মৎধভঃ’ ‘অর্থাৎ ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। ওয়াশিংটন পোস্টে রোজিনাকে আটকের আইনকে ‘ঔপনিবেশিক যুগের আইন’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সংবাদের ভূমিকায় লেখা হয়, দাফতরিক দুর্নীতির শক্তিশালী প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে ঔপনিবেশিক যুগের সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোজিনাকে নিয়ে প্রায় একই ধরনের শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দু। পাশাপাশি ভারতের সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার শিরোনাম ছিল, ‘বাংলাদেশ : সাংবাদিক রোজিনাকে রিমান্ড নেয়ার পুলিশের আবেদন খারিজ’। ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিও তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করে, ‘দুর্নীতি অনিয়মের (সংবাদের) জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্ম কমিটি ফর ট্যু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট ও প্রতিবেদন করে রোজিনার গ্রেফতারের বিষয়ে। সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- ‘ইধহমষধফবংযর ধঁঃযড়ৎরঃরবং ধৎৎবংঃ লড়ঁৎহধষরংঃ জড়ুরহধ ওংষধস ঁহফবৎ ঙভভরপরধষ ঝবপৎবঃং অপঃ’ অর্থাৎ বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনের আওতায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রতিবেদনে রোজিনার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবিও করেছে সংগঠনটি। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহ প্রদানকারী সংস্থা জিআইজেএন টুইটারে রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে। এক টুইট বার্তায় সংস্থাটি লিখেছে, কী সব হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির অন্যতম একজন সাংবাদিককে কয়েক ঘণ্টা আটক করে রাখা হলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সাংবাদিকতা কোন অপরাধ নয়। বিশ্ব পুরো ব্যাপারটি দেখছে। এছাড়াও এপি, সিয়াটল টাইমস, এবিসি নিউজ, ডেইলি হেরাল্ড, দ্য স্টারসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তির দাবি জানাল এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ॥ পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকের ঘটনা সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক টুইট বার্তায় রোজিনা ইসলামকে শর্তহীনভাবে এবং দ্রুত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সাউথ এশিয়ান উইম্যান ইন মিডিয়া ॥ দক্ষিণ এশিয়ার নারী সাংবাদিকদের সংগঠন দ্য সাউথ এশিয়ান উইম্যান ইন মিডিয়া (এসএডব্লিউএম) রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি উল্লেখ করেছে, রোজিনা সাংবাদিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতের দুর্নীতি নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন লিখে আসছেন। সিপিজে ॥ সাংবাদিক রোজিনাকে মুক্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। মানবাধিকার কমিশন ॥ রোজিনাকে হেনস্তা ও গ্রেফতার করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোজিনা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা না করে আটক রাখার বিষয়কে অমানবিক বলে মন্তব্য করে মানবাধিকার কমিশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রোজিনাকে মুক্তির দাবি জানানো হয়। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ॥ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রোজিনা ইসলাম প্রতিবেদন তৈরির পেশাগত কাজে সচিবালয়ে গিয়েছিলেন। সেই দায়িত্ব পালন করার সময় এমনভাবে তাকে অপদস্থ করা হলো যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এরপর তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলো এবং পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিল। এসব অত্যন্ত মর্মান্তিক ও অশুভ ঘটনা। ঘটনাটি খুবই অমানবিক ও একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের ঘটনা আমাদের বিষণœ ও উদ্বিগ্ন করে তোলে। দেশের অবস্থা যদি এ রকম হয়, তাহলে তো সংবাদকর্মীরা কোন কাজই করতে পারবেন না। অবিলম্বে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দেয়া দরকার। এছাড়াও রোজিনা ইসলামের গ্রেফতারের নিন্দা ও তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ), চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে), ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠন, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, খুলনা প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, রংপুর প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, পটুয়াখালী প্রেসক্লাব, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, নীলফামারী প্রেসক্লাব, নোয়াখালী প্রেসক্লাব, পাবনা প্রেসক্লাব, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলা প্রেসক্লাব, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর প্রেসক্লাব, সান্তাহার প্রেসক্লাব, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাব, রাঙ্গামাটি ও নেত্রকোনায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন ও সভা সমাবেশ করেছেন।
×