ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হাতিয়ায় পাঁচ কিশোরকে নির্যাতন ॥ চৌকিদার আমির আটক

প্রকাশিত: ১১:৫০, ১৮ মে ২০২১

হাতিয়ায় পাঁচ কিশোরকে নির্যাতন ॥ চৌকিদার আমির আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ৫ কিশোরকে কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি আমির চৌকিদারকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে চরকিং ইউনিয়নের শুল্লুকিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে একই ঘটনায় আরো ৫ গ্রাম্য মাতাব্বরকে আটক করে পুলিশ। জানাযায়, জেলেদের মাছ ধারা জাল চুরির অপরাধে ৫ কিশোরকে কোমরে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন করেন স্থানীয় এক গ্রাম চৌকিদার। এসময় নির্যাতনের শিকার কিশোরের মায়ের আর্তনাদ থামাতে পারেনি চৌকিদারকে। পাশ্ববর্তী এক যুবক গোপনে ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই থানা পুলিশ অভিযান দিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করে। রবিবার বিকালে ঘাটনাটি ঘটে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে শুল্লকিয়া গ্রামে । এই ঘটনায় রবিবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশু পদ দাস নামে এক কিশোরের পিতা হরিপদ দাস বাদী হয়ে চৌকিদার আমির হোসেন ও ৫ শালিশদারকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করে। এর আগে রবিবার সকালে জাল চুরির অপরাধে স্থানীয় জেলে মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে গ্রাম্য শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চুরির সাথে জড়িত ৫ জেলে কিশোরকে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ বেত্রাঘাত করার সিদ্বান্ত হয়। শালিশে ১০ বেত করে দেওয়ার সিদ্বান্ত হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় চৌকিদার আমির হোসেন কোমরে বাঁধা কিশোরদের এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এসময় কিশোরদের পক্ষে পরিবারের লোকজন বার বার ক্ষমা চাইলে চৌকিদার আরো উত্তেজিত হয়ে যান। ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায় কিশোর জেলেদের প্রকাশ্যে বেঁধে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করছেন একজন। পাশ থেকে তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা কান্না করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কান্নারত নারীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এই ঘটনায় এক কিশোরের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দিয়েছে। মামলায় শালিশে উপস্থিত থাকা ৫ গ্রাম্য মাতাব্বর ও চৌকিদার আমিরকে আসামি করা হয়। অভিযান দিয়ে আমরা সকল আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আজ তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
×