ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গাছের ডালে আইসোলেশন!

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১৮ মে ২০২১

গাছের ডালে আইসোলেশন!

ভারতে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন, বেড, ভেন্টিলেটরের আকাল। নেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। চারিদিকে শুধুই হাহাকার আর অসহায় মানুষদের আর্তনাদ। তবে শুধু ওষুধ বা হাসপাতালে বেডের আকাল নয়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতজুড়ে সেফহোম বা আইসোলেশন সেন্টারেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টারের অভাবে নিরুপায় হয়ে গাছের ডালে মাচা বানিয়ে আশ্রয় নিতে কার্যত বাধ্য হলেন এক যুবক। ভারতে যখন গণহারে টিকাদানের কথা বলা হচ্ছে ঠিক তখনই প্রকাশ্যে আসছে করোনা পরিস্থিতির বিভিন্ন ছবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এসব ছবিতে দেখা গেছে, গ্রামে একটিও সরকারী সেফহোম বা কোভিড-১৯ সেন্টার না থাকায় পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা মাথায় রেখে কখনও বা শৌচাগারে, খোলা মাঠে আবার কখনও গাছের ডালে অস্থায়ী মাচা করেই রাত কাটাতে হচ্ছে অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীদের। ১৮ বছরের যুবক শিবার পরিস্থিতি এমনই। বাড়িতে আলাদা থাকার ঘরের অভাব, গ্রামে নেই আইসোলেশন সেন্টার। ফলে বাধ্য হয়ে সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে বাড়ির একপাশে থাকা গাছের ডালই এখন অস্থায়ী ঠিকানা তার। তবে এই অবস্থা শিবার একার নয়, তেলেঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের সবারই একই দশা। শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবেলায় শহুরে মানুষ যেসব পরিষেবা পান সেগুলো সবই ধরা ছোঁয়ার বাইরে কোঠানন্দিকোন্ডা গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ, শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, যেকোন দরকারে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হলে যেতে হবে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এছাড়া অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হলে যেতে হবে ৩০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে শিবা জানান, গ্রামে এতদিন পর্যন্ত কোন কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টার ছিল না। দুদিন আগে তারা সবাই মিলে গ্রামেরই একটি হোস্টেলকে আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করেছেন। -কলকাতা ২৪
×