ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে বাবুল আক্তার

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১৭ মে ২০২১

পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে বাবুল আক্তার

অনলাইন ডেস্ক ॥ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ সোমবার (১৭ মে) সকাল ১১টার দিকে তাকে আদালতে আনা হয়। আদালতের একজন বেঞ্চ সহকারী জানান, সকাল ১১টায় বাবুল আক্তারকে আদালতে আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের খাস কামরায় রয়েছেন। গত বুধবার (১২ মে) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী বাবুল আক্তারের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করার জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর কাছে হস্তান্তর করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ মে) সারাদিন বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। সোমবার (১০ মে) মামলার বাদি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় তাকে। রিমান্ডের প্রতিবেদন ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না গেলেও ১৪ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য পাওয়া যায় বলে পিবিআই সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে মুছা সিকদারসহ ভাড়াটে খুনিরা মিতুকে সন্তানের সামনে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছিল। ওই সময় বাবুল আক্তার পদোন্নতি পেয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন। পরে চট্টগ্রামে গিয়ে তিনি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে ডিবি। ওই সময় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বাবুল আক্তারকে ঢাকায় পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই সময়ই তদন্তে মোড় ঘুরে যায়। মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। মিতুর মা-বাবাও দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডে বাবুল জড়িত। গত বছর মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মিতুর বাবার করা নতুন মামলায় বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরো সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম কালু ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাকু ও শাহজাহান মিয়া। আগের মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের দুজনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সাকু তিন দিনের রিমান্ডে আছেন। আগের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন, সেখানে হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া বাবুল আক্তারের মাধ্যমে সোর্স মুছা কিভাবে যুক্ত হয়েছেন, সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে। নতুন মামলায় বাবুল আক্তারের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ সোমবার রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।
×