ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলা থেকে ট্রলার ও স্পিডবোটে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১৭:১০, ১৬ মে ২০২১

ভোলা থেকে ট্রলার ও স্পিডবোটে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ঈদ শেষে আজ রবিবার সকালে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট থেকে কর্মজীবী সাধারণ মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করে ট্রলার স্পিডবোট ও ফেরী যোগে লক্ষ্মীপুর,ঢাকা,চট্রোগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এদের অনেকেরই মুখে মাস্ক যেমন ছিল না। তেমনি স্বাস্থ্য বিধি না মেনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। লকডাউনের কারনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রী ফেরি না পেয়ে দ্রুত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনা নদীর ডেঞ্জার জোন ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও স্পিডবোটে মেঘনা পাড়ি দিয়েছে। কোস্টগার্ড টহল দিলেও নৌ পুলিশ ও ইলিশা পুলিশের তৎপরতা নেই। ইলিশা ফেরিঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে বর্তমানে ৪টি ফেরি চলাচল করছে। সকাল ৭/৮ টা থেকে শুরু করে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৪টি ফেরি ইলিশা থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু ফেরি চলাকালে সকাল থেকে ঘাটে নৌ ও ইলিশা পুলিশের কোন কার্যকরী তৎপরতা না থাকায় মানুষকে অনেকটা জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে ট্রলার ও স্প্রীডবোটে যাত্রী পারাপার করছে। ঘাটের প্রভাবশালী একটি গ্রুপ ছোট ছোট ট্রলারের লোক ডেকে ডেকে যাত্রী তুলে দিচ্ছে। ফেরিতে ভাড়া ৭০ টাকা হলেও ট্রলার ও স্প্রীডবোটে ২শত থেকে ৬ শত টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে। প্রতিদিন শত শত যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা নদী পাদি দিচ্ছে। এতে করে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। যাত্রী বলছে, লঞ্চ সি-ট্রাক বন্ধ থাকায় ঈদের ছুটি শেষে তাদের কর্মস্থলে যেতে হবে তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা গন্তব্যের উদ্দ্যোশে যাত্রা দিয়েছে। এদিকে কোস্টগার্ডের নদীতে টহল দেখা গেলেও নৌ পুলিশ ও ইলিশা কদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীরা ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সব নিয়ন্ত্রন করে। যার কারনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিবিঘেœ অবৈধ ট্রলার স্পীডবোট চলাচল করছে। এ ব্যাপারে ভোলা ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইন্সপেক্টার আনিসুর রহমান জানান, আমরা চেষ্টা করছি কোন স্পীডবোট ট্রলার যাতে চলতে না পারে। তার পরও এলাকাটি বড় হওয়ায় দুই একটি ফাঁকি দিয়ে যায়। একটাও যাতে না যেতে পারে তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
×