ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ১৬ মে ২০২১

নিত্যপণ্যের বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে ঈদের ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট এখনো চালু হয়নি। নাড়ির টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নাড়ির গ্রামের বাড়িতে গেছেন। ঢাকায় যারা আছেন তারাও ছুটি কাটাচ্ছেন। আগামী দুই-তিনের মধ্যে কাঁচাবাজার ও দোকানপাটগুলো আবার পুরোপুরি সচল হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাঁচাবাজার সেভাবে চালু না হলেও নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাড়েনি মুদিপণ্যের দাম। রবিবার সরকারী ও বেসরকারীখাতের অফিসগুলো চালু হয়েছে। বেশিরভাগ দোকাপাট বন্ধ থাকলেও নগরবাসী প্রয়োজনীয় কাঁচাপণ্য বাজার থেকে কিনতে পারছেন। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার কারণে সীমিত সংখ্যক দোকানপাটেও প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। পাইকারি বাজার খ্যাত ঢাকার কাওরান বাজারেও ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সীমিত সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক আসছে বলে জানিয়েছেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা। এ কারণে পণ্য সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এ প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, ঈদের ছুটির কারণে বাজারে পণ্যেও চাহিদা কম। যা আসছে তা বিক্রি করতে সময় লাগছে। এর পাশাপাশি আড়তদার, পাইকারি ব্যবসায়ী ও মহাজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটি কাটাচ্ছেন। ফলে বেচাবিক্রি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। হাতেগোনা কিছু খুচরা সবজি ব্যবসায়ী মাল কেনার জন্য আসছেন। তবে চলতি সপ্তাহ নাগাদ আবার বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, মালিবাগ রেলগেট বাজার এবং গোঁড়ান কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অল্প সংখ্যক ব্যবসায়ী দোকানপাট খুলে বেচাবিক্রি করছেন। বাজারে ক্রেতা উপস্থিতিও আগের যেকোন সময়ের চেয়ে কম। যারা দোকানপাট খুলেছেন তারাও খোশ মেজাজে গপসপ করে সময় পার করছেন। মালিবাগ রেলগেট বাজারে নিত্যপণ্য কেনাকাটা করছিলেন খিলগাঁওয়ের সি-ব্লকের বাসিন্দা আফতাবুল ইসলাম। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বিশেষ করে সবজির দাম কমে গেছে বলে মনে হয়। তবে মাছ-মাংস ও মুরগি আগের মতো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চাল, ডাল, আটা, চিনি এবং ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। ওই বাজারের মুদিপণ্যের ব্যবসায়ী বাবুল তালুকদার বলেন, নতুন করে আর কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। বাজারে ক্রেতাই নেই। যেসব পণ্য আনা হচ্ছে তাও বিক্রি করা যাচ্ছে না। মার্কেট ও শপিংমলও চালু হয়নি ॥ ঈদের কেনাকাটায় চরম ব্যস্ততায় কাটলেও মার্কেট ও শপিংমল ব্যবসায়ীরা এখন ছুটির আমেজে রয়েছেন। এবার বেচাবিক্রি ভাল হওয়ায় বেতন-বোনাস দিয়ে চাঁনরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি দিয়েছেন মালিক ব্যবসায়ীরা। এ কারণে এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি নগরীর মার্কেটগুলো। তবে ফাস্টফুড ও খাবারের দোকান খুলে গেছে। নগরবাসী ঈদের ছুটি উপভোগে ছুটে আসছেন কফি হাউসগুলোতে। অনেক জায়গায় চলছে জমজমাট আড্ডা। করোনার কারণে স্বাস্থবিধি মেনে পার্সেল বিক্রির নির্দেশ থাকলেও তা মানছে না ফাস্টফুড ও হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তবে আগামী সপ্তাহ নাগাদ দোকানপাট ও মার্কেটগুলোতে বেচাবিক্রি আগের মতো স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কেট ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে নিউমার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেট এখনো চালু হয়নি। কর্মচারীরা ছুটিতে রয়েছেন। তারা ফিরে আসলে আবার স্বাস্থবিধি মেনে দোকানপাট চালু করা হবে।
×