ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে সংঘর্ষ ॥ ৭জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৪

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১৬ মে ২০২১

মাদারীপুরে সংঘর্ষ ॥ ৭জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০, আটক ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিবচরে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর ও সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন বেপারীর মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। করোনা সংক্রমনের কারণে স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে আতিকুর রহমান মাদবর ও মনোয়ার হোসেন বেপারী দু‘জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। শনিবার সন্ধায় ওই ইউনিয়নের আকনকান্দি গ্রামের একটি রাস্তায় আতিক মাদবরের সমর্থক মিরাজ আকন ও মনোয়ার বেপারীর সমর্থক তুষার বেপারীর সাথে ইউপি নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তুষার বেপারী মিরাজ আকনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। রাত ৮টার দিকে কুতুবপুর বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মনোয়ার বেপারীর সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আ: সালাম মাদবরকে (৬৫) তার দোকানে ঢুকে আতিক মাদবরের সমর্থক কাউসার বেপারীসহ কয়েকজন মিলে মারধর করে। এরই জের ধরে সাহেব বাজার মনোয়ার বেপারীর বাড়ি সংলগ্ন আতিক মাদবরের সমর্থক দুলাল বেপারীর একটি মার্কেটে মনোয়ার বেপারীর ছোট ভাই মানজার বেপারীর নেতৃত্বে ভাংচুর চালানো হয়। এসময় দুলাল বেপারীসহ আতিক মাদবরের সমর্থকরা মার্কেটের সামনে জড়ো হয়। এসময় নিজ বাড়ির ছাদ থেকে তাদেরকে লক্ষ করে মানজার বেপারীর নেতৃত্বে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে মাহবুবুর রহমান (৩৮), এসকান বেপারী (৪০), কাউসার বেপারী (৩৭), আ: রাজ্জাক মাদবর (৬৫), ওবায়দুল বেপারীসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৩জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের শিবচর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন বেপারী, শাহাদাৎ বেপারী, কাদির বেপারী, আলমগীর বেপারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিবচর উপজেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা: মো: এমদাদুল হক রাসেল বলেন, ‘রাতে সংঘর্ষে আহত কয়েকজন রোগী হাসপাতালে এসেছে। এর মধ্যে ৭ জন রোগী গূলিবিদ্ধ ছিল। আহতদের চিকিৎসা চলছে।’ শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
×