ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার, মৃত্যু আরও ৩৮৯০ জনের

প্রকাশিত: ১২:২২, ১৫ মে ২০২১

ভারতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৩ লাখ ২৬ হাজার, মৃত্যু আরও ৩৮৯০ জনের

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে তিন লাখ ২৬ হাজার ৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ৯০৭। দৈনিক মৃত্যুও পর পর তিন দিন ৪ হাজার থাকার পর শনিবার কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৮৯০ জনের। করোনার জেরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৬৬ হাজার ২০৭ জনের। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল আগের তুলনায় কম। এর জেরে দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণও কমেছে। মহারাষ্ট্রে শনাক্তের সংখ্যা নেমেছে ৪০ হাজারের নিচে। ৩১ মার্চের পর এই প্রথম রাজ্যটিতে দৈনিক শনাক্ত ৪০ হাজারের নিচে নামলো। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ৫০৬ জন। ১০ এপ্রিলের পর এই প্রথম দিল্লিতে দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজারের নিচে নামলো। ছত্তীসগঢ়ের আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের আশপাশে। উত্তরপ্রদেশে তা সাড়ে ১৫ হাজার। গুজরাটে ১০ হাজারের কম এবং মধ্যপ্রদেশে আক্রান্ত আট হাজারের মতো। তবে এই রাজ্যগুলোতে কমলেও অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় একই আছে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, ভারতীয়রা অসচেতন। আর এজন্যই দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মানুষের সচেতনতার অভাবও ভারতে এই ব্যাপক সংক্রমণের অন্যতম কারণ। দেশটিতে জমায়েত বেড়ে গিয়েছিল। মানুষের মাস্ক পরা ও অন্যান্য কোভিড বিধি মেনে চলার প্রবণতাও কমেছিল। তার ফলে প্রথমে নিচের স্তরে অনেক দিন ধরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ উল্লম্বভাবে বাড়তে শুরু করে।’ এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় পরে তা হাতের বাইরে চলে যেতে পরে বলেও সতর্ক করেছেন এই ভারতীয় বিজ্ঞানী। পাশাপাশি ভারতে টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতিকেও দায়ী করেছেন সৌম্যা। তার ভাষায়, ‘ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার দুই শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বছর গড়িয়ে যাবে সবাইকে টিকা দিতে। তত দিনে ভাইরাস হয়তো নিজের চরিত্র বদল করে ফেলবে। তখন আর বর্তমান টিকার কার্যকারিতা থাকবে না।’
×