ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. খুরশিদ আলম

রাজনীতির হেফাজত বনাম হেফাজতের রাজনীতি

প্রকাশিত: ২০:৪০, ১০ মে ২০২১

রাজনীতির হেফাজত বনাম হেফাজতের রাজনীতি

রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে রাজনীতিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। রাজনীতিকে এমনভাবে হেফাজত করা যাতে রাজনীতির মাঠে নিজের আধিপত্য বজায় থাকে। তাই আমাদের দেশের রাজনীতিকে হেফাজত করতে গিয়ে অনেক রাজনৈতিক দল হেফাজতকে রাজনীতির মাঠে নিয়ে এসেছেন বলে মনে করা হয়। কিন্তু এখানে আরও কিছু বিষয় জানা ও বোঝার দরকার। কার্ল মার্কস মনে করতেন যে, সংখ্যাগত পরিবর্তন গুণগত পরিবর্তন সাধন করে। কিন্তু আবার তা যে সকল সময়ে হবে তা নয়। যেমন, এই সংখ্যার কি ধরনের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া থাকবে বা তারা কি নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে নাকি তাদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তারা সরব হবে? সমাজ কাঠামো, রাজনৈতিক কাঠামো এবং রাজনৈতিক সংস্কৃৃতি ইত্যাদি হেফাজতের অবস্থান বা ভূমিকাকে নির্ধারণ করে দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে- তারা কি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হবে? রাজনৈতিক দল হিসেবে কি গড়ে উঠবে, দলের নিবন্ধন নেবে? নাকি ২০১০ সালে গড়ে ওঠা এই সংগঠনটি মাঝে মাঝে ২০১৩ সালের ১৩ দফার মতো কিছু ইস্যুভিত্তিক সহিংস আন্দোলন করবে? তাই প্রথম দেখা যাক, তাদের সংখ্যা কেমন এবং কি ধরনের রাজনৈতিক প্রতিল্ডিয়া তারা দেখাতে পারেন বলে মনে হয়। প্রথমত বলা দরকার যে, বিগত এক দশক ধরে বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে, দেশে কওমি মাদ্রাসাগুলোর দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। তবে এর অস্তিত্ব বহু আগে থেকেই ছিল। ১৯০১ সালে প্রথম হাটহাজারী মাদ্রাসার যাত্রা শুরু হয়। তারপর আরও কিছু দেওবন্দী ঘরানার কওমি মাদ্রাসা চালু হয় এই বাংলাদেশ ভূখন্ডে। তারা নীরবে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে কিংবা পেয়ে নিজস্ব একটা কাঠামোর মধ্যে শিশু থেকে আরম্ভ করে কিশোর বা তরুণদের ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এদের আবার মহিলা মাদ্রাসাও আছে। দেশে বর্তমানে মোট কওমি মাদ্রাসার সংখ্যা হলো ১৩ হাজার ৯০২টি এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য হচ্ছে ১২ হাজার ৬৯৩টি (৯১.৩০%) এবং মেয়েদের জন্য হচ্ছে ১ হাজার ২০৯ টি (৮.৭%) মাদ্রাসা। এর মধ্যে মোট ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৬ ছাত্র এবং ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৬ ছাত্রী রয়েছে। এটি কর্মসংস্থানের একটি অন্যতম জায়গা, যেখানে বর্তমানে ৭৩ হাজার ৭৩১ জন শিক্ষক নিয়োজিত আছেন। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি এবং তারপর চট্টগ্রাম বিভাগে বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। আর বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম। শিক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কওমি মাদ্রাসাগুলোতে আজকাল আরবীর পাশাপাশি ইংরেজী-বাংলাও পড়ানো হয়। আমি বিভিন্ন সময়ে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে গিয়ে কিছু কওমি মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের ইংরেজী এবং বাংলা শিক্ষার মান প্রচলিত প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উন্নত বলে মনে হয়েছে। তারা রেজিমেন্টাল পদ্ধতিতে শিক্ষা দিয়ে থাকে। প্রত্যেককে একই বিষয় অভিন্ন পদ্ধতিতে এবং অভিন্ন মনোযোগে পড়তে হয়। অর্থাৎ, যাকে বলা যায় ডু অর ডাই বা ‘হয় করো না হয় মর’ পদ্ধতি। পাখিদের মতো ছোট ছোট শিশুর কলকাকলি দেখা যায় জুনিয়র মাদ্রাসাগুলোতে। এখানে শিশু অধিকার বলতে তেমন কিছু নেই এবং এ সম্পর্কে শিক্ষকদের কোন ধারণা আছে বলে মনে হয়নি। আবার তারা শিশু অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে পাশ্চাত্যের ধ্যান-ধারণা বলে প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ইউনিসেফ তাদের সহায়তা করতে চেয়ে মাদ্রাসাগুলোতে ঢুকতেই পারেনি। তবে কোন কোন মাদ্রাসায় একটু-আধটু খেলতে দেয়া হয়, সেটা সামনের মাঠে দৌড়াদৌড়ি পর্যন্ত। আবার অনেকের তেমন কোন মাঠও নেই। মোটকথা, তারা তাদের নির্দিষ্ট একাডেমিক ছকের বাইরে কোন কিছু গ্রহণ করতে রাজি নয়। যদিও বিভিন্ন সরকারের সময় তাদের বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আবার তাদের ছাত্রদের মনোজগতে এমন একটি আধ্যাত্মিক ধারা তৈরি হয় যে, তারা ইহজাগতিক আনন্দ-বিনোদন ইত্যাদিকে পরিহার করাই শ্রেয় মনে করে। সুতরাং এটি একটি জীবন-দর্শনগত বিষয়, যেখানে পারলৌকিকতাই মুখ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কওমি মাদ্রাসাগুলো কি ভবিষ্যতে একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হতে পারে এবং হলে কি ধরনের হতে পারে? পাশাপাশি সরকারী মাদ্রাসাগুলো কি সময়মতো এদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে বা এরা তাদের মতাদর্শগত বা সংখ্যাগত শক্তিকে কাজে লাগাতে পারে? এভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন আসতে পারে। একজন ভারতীয় সাংবাদিক ২০০৫ সালে একটি বই লিখেছিলেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, বাংলাদেশ আফগানিস্তান হবে কিনা? কিংবা পাকিস্তানের মতো তালেবানের শক্তি বিকশিত হবে কিনা? আবার তারও এক বছর আগে ২০০৪ সালে আরেকজন বাংলাদেশী গবেষক লিখেছেন যে, গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে ইসলামী শক্তি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণের কাছাকাছি চলে আসছে কিনা? মার্কসের কথা বিবেচনায় নিলে বলা যায় যে, সংখ্যাগত পরিবর্তনের ফলে তারা একদিন রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা প্রকাশ করতে পারে বা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য তারা চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বিষয়টি সরাসরি এমন হবে, তা নয়। এর জন্য আমাদের বাংলাদেশের সমাজ কাঠামো বিশ্লেষণ করতে হবে। তাই প্রথমে দেখা দরকার কওমি মাদ্রাসাগুলোর গঠন কেমন? কওমি মাদ্রসাগুলোর গঠন দেখলে আমরা দেখতে পাব যে, এখানকার শিক্ষকদের বাদ দিলে তাদের এক বিরাট সংখ্যক ছাত্রই হচ্ছে ১০ বছর বা তার নিচে। বাকিরাও রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কে তেমন ভাল কিছু জানে না। আর তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক যেমন ৫-১০%-এর বেশি রাজনৈতিক বিষয়ে আগ্রহী নয় বলেই মনে হয়। এদের অর্থনৈতিক ভিত্তি হলো যে, তারা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকদের আর্থিক সহায়তায় চলে। ফলে এই আর্থিক নির্ভরতা তাদের কতটা স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে? তাদের কোন রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা থাকলে তাদের সে মতো সব গোষ্ঠী সমর্থন করবে কি-না? এ ছাড়া বাংলাদেশে এক বিরাট সংখ্যক লোক এখানে ইসলামী শাসন পছন্দ করে বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষ ইসলামী অনুশাসনগুলো মেনে চলতে চায়, কিন্তু তাকে অপরিহার্য বা অলঙ্ঘনীয় করলে কতটা পছন্দ করবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। ফলে আদর্শগত সমর্থনের দিক থেকে অর্থ জোগানদাতারা এবং তাদের সকল ধরনের রাজনৈতিক অভিভাবকরা তাদের এই রাজনৈতিক উত্থানকে কতটা সমর্থন করবে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। জনগণের মধ্যে প্রায় সকলে মদিনা সনদ অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষতা সমর্থন করে। তারা বিধর্মীদের ওপর ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে চড়াও হয় না; কেবল সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য বা রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য মাঝে মাঝে কিছু লোক তা অনুশীলন করে। তাই প্রশ্ন আসবে- তাদের নিজেদের থেকে তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হবে কিনা? তাদের শ্রেণীগত অবস্থান থেকে তাদের মধ্যে ইসলামী সমাজতন্ত্রের মতো কোন চেতনা দেখা দিতে পারে কিনা? শ্রেণীগত, ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণে তাদের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে কিনা? তাহলে তারা রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে কতটা আগ্রহী হবে? দ্বিতীয়ত, অন্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে কি তাদের নিজস্ব অবস্থান বাদ দিয়ে এই মাদ্রাসাভিত্তিক দলকে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে সহায়তা করবে কি-না? নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। প্রথমত, তারা সংখ্যাতাত্ত্বিকভাবে আরও বৃদ্ধি পেলেও এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারবে বলে মনে করার তেমন কোন কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে তারা নির্বাচনে গেলে সরকারে যাওয়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তৃতীয়ত, প্রায় সকল গোষ্ঠী নৈতিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমর্থন করে। যেমন, কেউ সরাসরি এটা মনে করে না যে, বাংলাদেশে অন্য কোন ধর্মের লোকদের ধর্ম পালনে বাধা দেয়া উচিত। তবে এক বিরাট সংখ্যক লোক ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করে। এর মূল কারণ হলো, সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতাতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই তারা এই ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা বলে ব্যাখ্যা দেয়। অর্থাৎ, যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে সমর্থন করে, তারা আর এটিকে সমর্থন করার সুযোগ দেখে না। বলা চলে সাংবিধানিক ধর্মনিপেক্ষতার এক অংশ তারা সমর্থন করে। আবার আরেক অংশ তারা সমর্থন করে না। আর এক্ষেত্রে তারা বিরাট এক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তাদের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সমর্থ হয়েছে। চতুর্থত, তাদের সামাজিক ভিত্তি এমন হবে না যে, তারা চাইলেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে। পঞ্চমত, তারা বিদেশী সহায়তা পেয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবে কিনা? এখানেও বলা যায় যে, কেবল সমুদ্রপথ ছাড়া অন্য কোনভাবে তাদের এখানে ক্ষমতায় যাওয়ার ব্যাপারে বাইরে থেকে সহায়তা পাওয়া ততটা সহজ হবে না। তবে মিয়ানমারকে কেন্দ্র করে যে ভূ-রাজনৈতিক বলয় গড়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, তার ভবিষ্যত এখনও বলা মুশকিল। এরপর প্রশ্ন আসে- তারা ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় যেতে পারবে কিনা? সে ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা এদের এক সহযোগীকে নিয়ে সরকার গঠন করলেও হেফাজতকে সরকার পরিচালনার কর্তৃত্ব দিতে রাজি হবে বলে মনে হয় না। পাকিস্তানেও এ ধরনের কোন অবস্থা এখনও সৃষ্টি হয়নি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থাও কিন্তু সে রকম নয় যে, এখানে গৃহযুদ্ধ করে আফগানিস্তানের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তানে অনেক অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও সেখানে তালেবানরা এখনও ক্ষমতায় যেতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলো কি হেফাজতকে নিয়ে খেলছে, নাকি হেফাজত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে খেলছে? বলা যায় যে, রাজনীতির যারা হেফাজত করেন, তাদের কারও কারও হেফাজতের রাজনীতির দরকার হয় বর্তমান রাজনৈতিক কাঠামোর কারণেই। আর তাই হেফাজতের রাজনৈতিক ভূমিকা নিঃশেষ হয়ে যাবে এমনটা নয়। তারা ক্ষমতায় না গেলেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভবিষ্যতে এদের সাহায্য যে কেউ চাইবে না এমনটাও নয়। বর্তমান বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি তা অনুমোদনও করে। আগামী দিনের রাজনৈতিক মেরুকরণের সময় তাদের কোন না কোন ভূমিকা থাকতে পারে। অবশ্যই এটা একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো হয়ে থাকবে। কেউ সময়মতো নাড়া দিলে লাভা নিঃসরিত হতে থাকবে। রাজনীতি হচ্ছে নদীর মতো বহমান। এর গুণগত পরিবর্তন ছাড়া কোনভাবে রাজনীতিতে ভিন্ন কিছু আসে না। রাজনীতিতে জোয়ার ভাটা আছে। এমনকি মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে। হেফাজতের কোন রাজনৈতিক সক্ষমতা আছে কিনা এবং সক্ষমতা হতে পারে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে এই মুহূর্তে বলা যায় যে, বর্তমান সামাজিক কাঠামো এবং রাজনৈতিক কাঠামো বিবেচনায় নিলে তাদের এককভাবে তা নেই। তবে ভবিষ্যতে তাদের এককভাবে না হলেও সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। তাদের কোন শ্রেণী চেতনা বা মর্যাদা চেতনা দেখা দিতে বা তৈরি হতে পারে কিনা? এটির সম্ভাবনা আছে এবং তা হতে থাকবে। পরিশেষে বলা যায় যে, জামায়াত রাজনৈতিক নেতৃত্ব হারিয়েছে, কিন্তু সমর্থক হারায়নি। তেমনি হেফাজতের রাজনীতি একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাবে, তা নয়। ভবিষ্যত রাজনীতির মেরুকরণের সময় এর প্রভাব রাজনীতির হিসাবটাকে জটিল করে তুলতে পারে। তারা ক্ষমতায় না গেলেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভবিষ্যতে এদের সাহায্য কেউ চাইবে না এমনটাও নয়। যদিও সংখ্যার দিক থেকে তারা বড় কিছু নয়, কিন্তু তারা সর্বদা গণমানুষের সঙ্গে চলাফেরা করে যারা ধর্মীয় কারণে এদের কথা দ্বারা প্রভাবিত হয়। রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব যতদিন থাকবে ততদিন এই ধরনের সংগঠনগুলোর প্রভাব থাকবে। আগামী দিনে বাংলাদেশে যারা রাজনীতির হেফাজত করবেন, তাদের কোন না কোন ভাবে হেফাজতের মতো সংগঠনগুলোর অস্তিত্বকে বিবেচনায় নিতে হবে। লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল রিসার্চ ট্রাস্ট, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক [email protected]
×