ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইফতারে হালিম খাওয়া নিয়ে যা বলছে বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ৮ মে ২০২১

ইফতারে হালিম খাওয়া নিয়ে যা বলছে বিশেষজ্ঞরা

অনলাইন ডেস্ক ॥ রোজার মাসে অনেকেরই প্রিয় খাবার হালিম। এমন অনেক মানুষ আছেন ইফতারে তাদের হালিম ছাড়া চলেই না। হালিম সাধারণত পুরান ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী খাবার, তবে সে গণ্ডি পেরিয়ে সারাদেশেই বেড়েছে মুখরোচক এ খাবারের কদর। তবে সারাদিন রোজা রাখার পর উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এই খাবারটি শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। হালিম, নানান পদের ডাল, মাংস ও বিভিন্ন রকমের মসলার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় এ খাবারটি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির মানুষের কাছে রয়েছে এ খাবারটির সমান কদর। নানান মসলার ব্যবহার এবং রান্নার কৌশলের ভিন্নতার কারণে দোকান ভেদে এ খাবারটির স্বাদও হয় ভিন্ন। ক্রেতারা বলছেন, পরিবারের রীতি হয়ে গেছে। হালিম ছাড়া ইফতার হয় না। আবার বিক্রেতারা বলছেন, বিএসটিআই’র নিয়ম অনুযায়ীই তৈরি করা হয় হালিম। কোনও বিক্রেতা বলছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি করার। ইতিহাসবিদদের মতে, মোঘলদের হাত ধরেই আমাদের দেশে এ খাবারের প্রচলন শুরু হয়েছে। রান্না শেষে ধনিয়া পাতা, আদা কুচি, ভাজা ও বিট লবণ দিয়ে পরিবেশন করা হয় এ খাবারটি। পাত্রের আকার ভেদে দেড়শ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হয় হালিম। দাম কিছুটা বেশি হলেও কাটতি নেই ক্রেতাদের। ক্রেতারা বলছেন, স্বাস্থ্যসম্মতের বিষয়টি নির্ভর করে দোকানদারের ওপর। তারা কতটুকু বিধিনিষেধ মেনে চলে তার ওপরই নির্ভর করছে। বিভিন্ন রকম ডাল ও মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় বলে ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণে সক্ষম হালিম। তবে সারাদিন রোজা থাকার পর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খাবারটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সাজেদা ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলছেন, হালিম অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত। তারপরও খেয়াল রাখতে হবে যে, এর পাশাপাশি যদি তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাপোড়া থাকে তাহলে এটা ক্ষতিকরও হতে পারে। যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে তাদের ক্ষেত্রে হালিম এড়িয়ে চলাই ভালো। হালিম পুষ্টির চাহিদা পূরণে সক্ষম হলেও দোকানের হালিম না খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
×