ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে করোনা উপেক্ষা করে জমজমাট ঈদ বাজার

প্রকাশিত: ১২:৫১, ৫ মে ২০২১

বরিশালে করোনা উপেক্ষা করে জমজমাট ঈদ বাজার

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে বরিশালের সর্বত্র জমে উঠেছে ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে বিপণি বিতানগুলো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভীড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগররা। জানা গেছে, করোনার সংক্রমণের আতঙ্ক বিরাজ করলেও থেমে নেই মানুষ। ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে মানুষ ততোই মার্কেটমুখী হচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের চলমান ভ্রাম্যমান আদালতের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে ঈদের মার্কেটগুলো। সরেজমিনে নগরীসহ জেলার কয়েকটি উপজেলার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা অনেক বেশী। মেয়েদের পাকিস্তানী বারিশ পোশাকটি প্রকার ভেদে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানী বারিশ, ইন্ডিয়ান বুটিক্স, হাফ সিল্ক ও ভিনয় থ্রি-পিস সর্বত্র বেশী বিক্রি হচ্ছে। পার্টি শাড়ী, গোলভানু, স্বর্ণকাতান, কাতান, ইন্ডিয়ান সিল্ক, পাকিস্তানী জামদানী, টাঙ্গাইল, সিনথেটিক্স জামদানী, ঢাকাইয়া জামদানী, কুচি প্রিন্স শাড়ী, লংফ্রোগ ও ল্যাহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে। করোনার মধ্যে গত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি অনেকটা ভালো বলে জানিয়েছেন একাধিক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সূত্রমতে, ইন্ডিয়ান বুটিক আট থেকে নয় হাজার, পাকিস্তানী বারিশ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাড়ী সাউথ কাতান পাঁচ থেকে ১৬ হাজার, জর্দান সিল্ক চার থেকে আট হাজার ও জামদানী পাঁচ থেকে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, এবছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ক্রেতারা আরও বলেন, দাম একটু বেশী হলেও এবার ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। বরিশাল উত্তর জনপদের সর্ববৃহত মার্কেট গৌরনদীর ভাই ভাই শপিং মলের স্বত্তাধীকারি ভোলা সাহা বলেন, করোনার শুরু থেকে তাদের মার্কেটে মাক্স ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকিকিনি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিক্রি অনেক বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। এবছর দামও সাধ্যের মধ্যে থাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দে পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে পারছেন। বিভিন্ন টেইলার্সের দোকানে খোঁজনিয়ে জানা গেছে, রাত জেগে তারা কাজ করছেন। গতবছরের চেয়ে এ বছর ঈদ বাজার জমজমাট হওয়ায় পোশাক তৈরিও বেশি হচ্ছে। সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে বাজারে আসার কথা ব্যক্ত করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
×