ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসজিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সিটি

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ৫ মে ২০২১

পিএসজিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সিটি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে সিটি। দুই অর্ধে একবার করে বল জালে পাঠান রিয়াদ মাহরেজ। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে বাকি সময়ে আর লড়াইও করতে পারেনি পিএসজি। প্রতিপক্ষের মাঠে ২-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে ফাইনালে উঠল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। তুষারে মাঠের অনেকটা জায়গা ঢেকে ছিল। তাতে ফুটবলের স্বাভাবিক ছন্দ কিছুটা বিঘ্ন হয়। বিরতির পর আবার নামে বৃষ্টি। তবে কোনো কিছুই থামাতে পারেনি দুর্দান্ত সিটিকে। পিএসজির জন্য হিসেবটা আগে থেকেই ছিল বেশ কঠিন। শুধু জিতলেই হতো না, ব্যবধানটাও রাখতে হতো যথেষ্ট। তেমন কিছুর সম্ভাবনাও জাগাতে পারেনি তারা। পুরো ম্যাচে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না সফরকারীদের। প্রথম মিনিট থেকে চাপ তৈরি করে তারা। তাদের আশার পালে দোলা দেয় ষষ্ঠ মিনিটের পেনাল্টির বাঁশি। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় অলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর কাঁধে বল লেগেছিল, ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত। পাঁচ মিনিট পরেই গোল খেয়ে বসে পিএসজি। দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে কেভিন ডে ব্রুইনের শট মার্কিনিয়োসের পায়ে লেগে বল চলে যায় ডান দিক। ছুটে গিয়ে জোরালো কোনাকুনি শটে কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন মাহরেজ। প্রথম লেগে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন আলজেরিয়ার এই মিডফিল্ডার। একটু পর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগে সুযোগ পায় পিএসজি; কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। প্রথম দেখায দলের একমাত্র গোলটি করা মার্কিনিয়োসের হেড ক্রসবারে বাধা পায়। পরের সুযোগটি আসে প্রতিপক্ষের ভুলে; কিছুটা এগিয়ে গিয়ে সতীর্থকে পাস দিয়েছিলেন এদেরসন, দারুণ ক্ষিপ্রতায় ওই বল ধরেই শট নেন দি মারিয়া। একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির আগে আবারও ভীতি ছড়ান মাহরেজ। তবে এ যাত্রায় তার দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন নাভাস। পিএসজি বিরতির পরও খেলতে থাকে সাদামাটা ফুটবল। বারবার আক্রমণে উঠলেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে না পেরে এলোপাথারি শট নিচ্ছিল নেইমার-দি মারিয়ারা। ৫৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পায় সিটি। তবে ফিল ফোডেনের জোরালো শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন নাভাস। তবে এর ১০ মিনিট পরই ম্যাচ প্রায় শেষ করে দেন মাহরেজ। বাঁ দিক থেকে দারুণ পাল্টা আক্রমণে উঠে ডি ব্রুইনেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর ফিরতি পাস পেয়ে ডান দিকে ক্রস বাড়ান তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। আর কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন মাহরেজ। মেজাজ হারিয়ে দি মারিয়া ৬৯তম মিনিটে লাল কার্ড দেখলে পিএসজির ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষ হয়ে যায়। সাইডলাইনে বাইরে অহেতুক সিটির অধিনায়ক ফের্নানদিনিয়োকের পায়ে পাড়া দিয়ে বহিষ্কার হন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধেও দু-দফায় দুই পক্ষের মাঝে একটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। লাল কার্ডের সিদ্ধান্তে আবারও তাই হয়। হাতহাতিও চলে কিছুটা। পরের চার মিনিটে দুই দলের আরও তিন জন দেখেন হলুদ কার্ড। ৭৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। তবে ফোডেনের শট নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে পোস্ট কাঁপায়। বাকিটা সময়ও রক্ষণ জমাট রেখে শেষ বাঁশির সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে গুয়ার্দিওলার দল। ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম ইংল্যান্ডের কোনো দল এক আসরে ১১টি ম্যাচ জিতল। পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব পার করা সিটি নকআউট পর্বে জিতল সব ম্যাচ। অপেক্ষা এবার ফাইনালের। আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা চেলসি।
×