ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে মরগানের কৃতজ্ঞতা

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ৫ মে ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার আগে মরগানের কৃতজ্ঞতা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডো প্রাইড ছেড়ে ইংল্যান্ডের এফএ ওমেন্স সুপার লীগের দল টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিয়েছিলেন এ্যালেক্স মরগান। কিন্তু আমেরিকান ফুটবলের এই কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের ইংলিশ যাত্রাটা খুব দীর্ঘস্থায়ী হলো না। মাত্র চার মাস পার হতে না হতেই টটেনহ্যাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এর ফলে নতুন বছরে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছেন ৩১ বছর বয়সী এ্যালেক্স মরগান। সোমবার এই তথ্য টটেনহ্যাম হটস্পারই নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে টটেনহ্যাম হটস্পার জানিয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, এফএ ওমেন্স সুপার লীগের প্রথমার্ধের সমাপ্তি করে নতুন বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন এ্যালেক্স মরগান।’ তার সাবেক ক্লাব ওরল্যান্ডোতেই পুনরায় যোগদানের প্রত্যাশা করছেন মরগান। গত বছরের মাঝামাঝি কন্যা সন্তানের মা হন এ্যালেক্স মরগান। এরপর আবারও ফুটবলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বিশ্ব মহিলা ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। মূলত, অলিম্পিকের দলে জায়গা করে নিতে নিজের হারানো ফিটনেস ফিরে পেতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন মরগান। করোনা ভাইরাসের কঠিন সময়েও নিজের দেশ ছেড়ে লন্ডনে অবস্থানের কঠিন সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তিনি। দলের হয়ে রিডিংয়ের বিপক্ষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্পার্শদের জার্সিতে অভিষেক ঘটে তার। তবে ৯০ মিনিট খেলার সৌভাগ্য হয়েছে মাত্র এক ম্যাচে। যে ম্যাচে তারা ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে এ্যাস্টন ভিল্লাকে। টটেনহ্যামের জার্সিতে এটাই মরগানের শেষ ম্যাচ। রবিবার চেলসির বিপক্ষে ম্যাচ ছিল টটেনহ্যামের। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্থগিত করে দেয়া হয় এই ম্যাচ। ফলে এই ম্যাচে খেলা হয়নি মরগানের। টটেনহ্যামের জার্সিতে তার নামের সঙ্গে যোগ হয়েছে কেবল মাত্র পাঁচটি ম্যাচ। গোলসংখ্যা দুইটি। তবে এই সময়ে পুরোপুরো ফিট হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ১৭০ ম্যাচে ১০৭ গোল করা এই স্ট্রাইকার। সেজন্য ক্লাবটির কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এ্যালেক্স মরগান বলেন, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষ, সতীর্থরা এবং ভক্ত-অনুরাগীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে যেভাবে দেখেছে, সমর্থন যুগিয়েছে তাতে আমি ক্লাবটির কাছে আজীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। লন্ডনে পৌঁছার শুরু থেকেই মনে হয়েছে যে আমি একটা প্রথম শ্রেণীর সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আমি যেটা ভালবাসি সেই খেলাতে ফেরার ক্ষেত্রে আমাকে দারুণভাবে সহায়তা করেছে তারা। আমার এযাত্রায় যারা দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রত্যেককেই আমি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।’
×