ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিক ট্রায়ালে ডানকান স্কটের রেকর্ড

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ৫ মে ২০২১

অলিম্পিক ট্রায়ালে ডানকান স্কটের রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিয়ারের তৃতীয় পদক জয়ের স্বাদ পেলেন ডানকান স্কট। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ অলিম্পিক ট্রায়ালে ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে রেকর্ডও গড়েছেন এই সাঁতারু। মাত্র এক মিনিট ৪৪.৪৭ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে অবিস্মরণীয় এই কীর্তি গড়েন তিনি। যা পূর্বের রেকর্ডের চেয়েও ০.৪৪ সেকেন্ড কম। এর আগে এই ইভেন্টে ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে এবং ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলেও প্রথম হয়েছিলেন ২৩ বছরের এই ব্রিটিশ সাঁতারু। রেকর্ড গড়ে দারুণ খুশি ডানকান স্কট। নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সময়ে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। কেননা এই মঞ্চটা খুবই শক্তিশালী।’ ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন স্কট। কিন্তু সেবার দুটি রৌপ্য পদক জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাকে। এবার টোকিও অলিম্পিকে আরও বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে তার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স। এই মুহূর্তে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছেন ডানকান স্কট। তার পরেই অবস্থান টম ডিনের। ইংলিশ কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়ন সারাহ ভাসেই। ব্রিটিশ ট্রায়ালে ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে প্রথম হয়েছেন তিনি। ১ মিনিট ০৬.৩৭ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে প্রথম হন তিনি। ব্রিটিশ রেকর্ডের চেয়ে যা মাত্র ০.০৩ সেকেন্ড কম। সারাহর চেয়ে ০.৩৫ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মোলি রেন’শ। ওয়েলশ কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য পদকজয়ী ড্যানিয়েল জার্ভিস ১৫০০ মিটারে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেছেন ১৪:৫১.৪৯ সেকেন্ডে। আর তাতেই অভিভূত এই সাঁতারু। তাতেই অলিম্পিকের জন্য বিবেচিত হয়েছেন তিনি। এজন্য আনন্দে আত্মহারা জার্ভিস। এ প্রসঙ্গে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে ২৪ বছর বয়সী এই সাতারু বলেন, ‘এটা আমার জন্য স্বপ্ন।’ এদিকে, জুন মাসের আগে টোকিও অলিম্পিক আয়োজকদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কত সংখ্যক দর্শককে তারা স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দিবে। জাপানে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে আয়োজকরা। ইতোমধ্যেই করোনা মহামারীর কারণে বিদেশী সমর্থকদের এবারের গেমসে প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় আয়োজক কমিটি। এপ্রিলেই স্থানীয় সমর্থকদের ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল। কিন্তু জাপানিজ গণমাধ্যম সূত্রমতে জানা গেছে, বিষয়টি এখন জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই থেকে গেমস শুরু হতে যাচ্ছে। সে কারণেই একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় আয়োজক জাপান। এ কারণে টিকেট বিক্রিও এখন পিছিয়ে দেয়া হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কোন পর্যায়ে যায় তার ওপর নির্ভর করেই দর্শকসংখ্যা নিরূপণ করা হবে। এক বিবৃতিতে টোকিও ২০২০ জানিয়েছে, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইওসি ও আইপিসি (্ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি) সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই এ ব্যপারে একটি সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হতে পারব।’ অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের ব্যাপারেও প্রতিনিয়তই সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হচ্ছে জাপানকে। আগে প্রতি চার দিন অন্তর খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষার কথা থাকলেও এটা এখন প্রতিদিনিই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাপানে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনার প্রকোপ। যে কারণে এক পর্যায়ে পুনরায় গেমস বাতিলের বিষয়টিও এখন গুরুত্ব সহকারে সামনে চলে এসেছে। গেমসের আগে পরীক্ষমূলক কিছু ইভেন্টও সে কারণে বাতিল অথবা অন্যত্র সরিয়ে নেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
×