ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লকডাউন ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ৫ মে ২০২১

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে লকডাউন ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার লকডাউন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির সহযোগী সংগঠন শ্রমিক দল আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংগঠনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ফখরুল বলেন, সোমবার মাওয়াঘাট এলাকায় স্পিডবোটের যে দুঘর্টনা ঘটেছে এবং এ ঘটনায় ২৭জন নিহত হয়েছেন তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সরকারের যে এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাপনা নেই এই দুর্ঘটনা তার একটা প্রমাণ। স্পীডবোট চালু করেছে ঠিক আছে কিন্তু লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউন দিয়েছে, কিন্তু কোথাও কোন লকডাউন নেই। আবার গণপরিবহন চালু করল কিন্তু আন্তঃজেলা পরিবহন চলবে না, শুধুমাত্র জেলার মধ্যে থাকতে হবে। এগুলো থেকে বোঝা যায় তারা কতটা দায়িত্বহীন এবং কতটা অযোগ্য। তিনি বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য কোন সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়নি। সরকার লকডাউন দিয়েছে খেটেখাওয়া মানুষের জন্য কোন সহযোগিতার ব্যবস্থা না করে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে বের হতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই পারে এ সরকারের কবল থেকে আমাদের সবাইকে মুক্ত করতে। আর এর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তরুণ, যুবক ও শ্রমিক শ্রেণীকে একতাবদ্ধ হওয়া এবং রাজপথে আন্দোলন করা। ফখরুল বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সোমবার শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে সিসিইউতে নেয়া হয় এবং এখনও সিসিইউতে আছেন। তাঁকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা আশাবাদী তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা দোয়া চাইছি মহান করুণাময় আল্লাহতায়ালার কাছে। সমগ্র জাতি তাঁর জন্য প্রার্থনা করছেন- তিনি যেন অতিদ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। ফখরুল বলেন, করোনার মধ্যে আজকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনরা। করোনার যে প্রণোদনা সরকার ঘোষণা করেছে সেই প্রণোদনার মধ্যে কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কোন বরাদ্দ সেভাবে রাখা হয়নি। যা কিছু প্রণোদনা দেয়া হয়েছে মালিকশ্রেণীকে দেয়া হয়েছে এবং সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং আওয়ামী লীগের যারা দোসর তারা নিজেরা এ প্রণোদনা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফখরুল বলেন, আমরা বার বার বলেছি, করোনাকালে যাদের বেশি প্রয়োজন, যারা দিন আনে দিন খায়, যারা অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কাজ করে, যারা ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করে তাদেরকে সবেচেয়ে আগে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বলেছিলাম কমপক্ষে তিন মাসের এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে হবে দিনমজুরদের। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
×