ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে

প্রকাশিত: ২১:১১, ৫ মে ২০২১

গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ, ধর্ষণের পর নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাজশাহীর বাঘায় এক গৃহবধূ পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সুরুজ মালিথা নামে একজনকে আটক করেছে। এদিকে, বরিশালে ভগ্নিপতির ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক কিশোরী। পরে ধর্ষণকারী নিজ স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তিনদিন পর বাধ্য হয়ে নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে করেছে। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের পাঠানো- রাজশাহীর বাঘায় স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হয়ে এক গৃহবধূ পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার কলিকগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সুরুজ মালিথা নামে একজনকে আটক করেছে। আটক সুরুজ পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বাঘা থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার কলিকগ্রাম এলাকার এক দিনমজুর স্ত্রীকে বাসায় রেখে নাটোর অঞ্চলে ধান কাটার কাজে গেছেন। আর এ সুযোগটি কাজে লাগায় তিন ব্যক্তি। এলা হলো একই গ্রামের এলু মালিথার ছেলে ঝুন্টু মালিথা (৩৫), রুবান মালিথার ছেলে সুরুজ মালিথা (৩৬) ও গুলমাল প্রামাণিকের ছেলে রুজদার (৪২)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বাড়ির টিনের দরজা ভেঙ্গে অভিযুক্তরা ভেতর প্রবেশ করে। এ সময় দরজা ভাঙ্গার শব্দে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই গৃহবধূ। অভিযুক্তরা হাঁসুয়া এবং চাকুর মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সকালে গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে কলিকগ্রাম এলাকা থেকে সুরুজ মালিথাকে আটক করে। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর মামলার পর পুলিশ সুরুজ মালিথা নামের এক আসামিকে আটক করেছে। সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। বরিশাল বিয়ের প্রলোভনে বোনজামাইয়ের একাধিকবার ধর্ষণে স্কুলপড়ুয়া শ্যালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার তিনদিন পর ১৫ বছর বয়সের নাবালিকা শ্যালিকাকে বিয়ে করেছে অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার। ঘটনাটি জেলার মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের উত্তর কাজিরচর (বাইদের কান্দি) গ্রামের। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদার ওই গ্রামের মৃত খলিল হাওলাদারের পুত্র। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আট মাস আগে জুয়েল হাওলাদার পার্শ^বর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের সালাম বেপারির কন্যাকে বিয়ে করে। বিয়ের একমাস পরেই প্রথম স্ত্রীর ছোট বোন কাজিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর ওপর জুয়েলের কুনজর পড়ে। একপর্যায়ে বিয়ের জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে জুয়েল। বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে জুয়েল তার শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে। এতে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ কারণে স্কুলছাত্রী জুয়েলকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে হুমকি প্রদান করে তাকে বিয়ে না করলে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হবে। পরবর্তীতে মামলা থেকে রক্ষা পেতে জুয়েল তার প্রথম স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করে। কাজিরচর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ নূর শরীফ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ এপ্রিল জুয়েল তার প্রথম স্ত্রী রোকসানাকে খোলা তালাক প্রদান করেছে। এরপর ২৯ এপ্রিল ফারজানা আক্তার আফসানা নামের এক মেয়েকে সে (জুয়েল) দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের সময় পাত্রীর বয়স ১৮ বছর প্রমাণে কাগজপত্র দেখিয়েছে। এরপর তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করানো হয়েছে। কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস জানান, বড় বোনকে খোলা তালাক দেয়ার তিনদিন পর নাবালিকা ছোট বোনকে বিয়ে করা যুক্তিসঙ্গত নয়। মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×