ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় প্রকাশ্যে মহাসড়কের ওপর সিএনজি যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ৪ মে ২০২১

বগুড়ায় প্রকাশ্যে মহাসড়কের ওপর সিএনজি যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ মঙ্গলবার সকালে বগুড়ায় প্রকাশ্যে মহাসড়কের ওপর গুলি করে মোজাফফর হোসেন (৫৫) নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি একটি ঝাঁড় ফুক ও পানি পড়া দিয়ে কবিরাজী এবং একটি মাদ্রাসা পরিচালনাসহ শিক্ষকতা করতেন। বাবা হুজুর নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। দুর্বৃত্তরা অটোরিক্সা থামিয়ে তাকে গুলি করে চলে যায়। পুলিশ ও একাধিক সুত্র জানায়, মোজাফ্ফর হোসেন নাটোরের সিংড়ার সুকাশ লয়দা পাড়া গ্রামের মৃত সায়েদ আলীর ছেলে। তিনি শহরের কারবালা এলাকায় পরিবারসহা থাকতেন এবং নিশিন্দারা মধ্যপাড়ায় দারুল হেদায়া নামে একটি কওমি মাদ্রাসা পারিচালনা করতেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি সিএনজি চালিত অটেরিক্সায় গ্রামের বাড়ি সিংড়া থেকে শহরের দিকে আসছিলেন।পথে সকাল ১০টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম কৃষি কলেজের সামনে তার ওপর হামলা হয়। পুলিশ জানায়, ওই স্থানে সড়ক ভাঙ্গা ছিলো। এসয় মটরসাইকেলে আসা দুই জন দুর্বৃত্ত অটোরিক্সার গতিরোধ করে এবং অটোরিক্সার যাত্রী মোজাফ্ফর হোসেনকে লক্ষ্য করে কাছ থেকে পর পর কয়েকটি গুলি চালায়। দুর্বৃত্তদের আর কেউ অন্য কোন মটরসাইকেলে ছিলো কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি। তার বুকে ও পেটে ৪/৫টি গুলি লাগে। হত্যকারীরা একাধিক গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীরা মটরসাইকেল নিয়ে তাকে অনুসরণ করে আসছিলো বলে পুলিশের ধারণা। অটোরিক্সার অন্য যাত্রী ও চালক তাকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নিহত মোজাফ্ফরের সহকর্মী মাদ্রাসা শিক্ষক ও পুলিশ সুত্র জানায়, মোজাফ্ফর হোসেন বাবা হুজুর নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ঝাড় ফুক ও পানিপড়া দিয়ে জ্বীন ভুতের আছর ছাড়ানো ও দাম্পত্য সম্পর্কিত সমস্যার কবিরাজী চিকিৎসা করেতন। এ জন্য তিনি বাবা হুজুর হিসাবে পরিচিত পান। প্রতিদিন তিনি সকাল ১০টা থেকে দুপুর বারো পর্যন্ত তার মাদ্রাসায় রোগী দেখতেন। তার সহকর্মী মাওলনা মাহবুব সরকার জানান, মাদ্রাসাটি ভাড়া বাসায় চলছিলো। পুলিশ ও তার সহকর্মী সুত্র, জানায় মাদ্রাসা শিক্ষক মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে বাবা হুজুরের দুই স্ত্রী। তিনি বগুড়া ও গ্রামের বাড়ি সিংড়া উভয়স্থানেই থাকতেন। কয়েকদিন আগে তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক স্ত্রী থাকেন। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সকালে তিনি আসছিলেন। বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুয়া ও বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন।
×