ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ৪ মে ২০২১

বরিশালে হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ চলতি বোরো মৌসুমে জেলার সর্বত্র হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি দেশি প্রজাতির ধানে এবার চিটার পরিমান অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বোরো আবাদ হয়েছে জেলার আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলায়। ইতোমধ্যে বাগেরহাট, মাদারীপুর ও রাজবাড়ীসহ দূরবর্তী জেলা থেকে আগত শ্রমিকরা এসব উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে কৃষকের পাকা বোরো ধান কাটতে শুরু করেছেন। এমনকি মেশিনের সাহায্যেও চলছে ধান কর্তনের কাজ। গ্রামীণ কৃষক-কৃষাণীরা সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকা ধান কর্তন, ঝাড়াই-মাড়াই, সিদ্ধ ও গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড় শুকাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত জনকণ্ঠকে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৫২ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ২৫ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ২৫ হাজর ১০ হেক্টর জমিতে উফসি ও দুই হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো আবাদ হয়েছে। তিনি আরও জানান, গত বছর কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চলতি মৌসুমে অনাবাদি জমিগুলোও বোরো চাষের আওতায় এসেছে। ফলে জেলায় বোরো ধানের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক কৃষকরা জানান, গত মৌসুমে জেলার সর্বত্র বোরোর ফলন ভাল হয়েছিলো। এবছর গরম হাওয়ার প্রভাবে দেশি প্রজাতির ধানে চিটার পরিমান অনেক বেশি। তারা আরও জানান, হারভেস্টার জাতীয় মেশিন দিয়ে পাকা বোরো ধান মাড়াই করা হলে ধানের খড়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে বছর শেষে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য অধিকাংশ কৃষকরা ধান মাড়াইয়ে বিকল্প মেশিন ব্যবহার করছেন। গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, দেশী প্রজাতির ধানের চেয়ে চলতি মৌসুমে হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবছর গৌরনদী উপজেলার ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির বোরো আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়া এবং গরম আবহাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে দেশিয় প্রজাতির ধানে চিটার পরিমান কিছুটা বেশি হয়েছে।
×