ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে বসেই এখন সেবা নেবেন রাজশাহী সিটির বাসিন্দারা : পলক

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ৩ মে ২০২১

ঘরে বসেই এখন সেবা নেবেন রাজশাহী সিটির বাসিন্দারা : পলক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দারা এখন ঘরে বসেই ২৪টি সেবা নিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । এ উপলক্ষে চালু হয়েছে স্মার্ট রাজশাহী অ্যাপ। ওয়েব, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ এই তিন ফরম্যাটের মাধ্যমে সেবাগুলো নিতে পারবেন রাজশাহী সিটির বাসিন্দারা। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এ স্মার্ট অ্যাপ চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অ্যাপের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সব সেবা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার জন্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা অনেক আনন্দিত যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে রাজশাহীবাসীর জন্য স্মার্ট রাজশাহী অ্যাপ আমরা তুলে দিচ্ছি। তিনি জানান, বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এই অ্যাপ কাজে লাগবে। আবেদন ফরম পূরণ, ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া, হোল্ডিং ও ট্যাক্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি বিলসহ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে পে করতে পারবেন। তিন বছর তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিভাগ অ্যাপটি পরিচালনা করবে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমরা ডিজিটাইলেজেশনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে পলক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে স্কুল অব ফিউচার নামের একটি মডেল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করব। যেখানে শুধু ল্যাব নয় ক্লাস রুম ও ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক স্কুলে তাদের হাজিরা, কারিকুলামসহ নানা সেবা থাকবে। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০১২ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা নিয়ে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। সেই সময়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল, কিন্তু আজ সেই রূপকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো সহজেই সবার হাতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়া। আমরা সে লক্ষ্য পূরণেও অনেক ধাপ এগিয়েছি। আজ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিভিন্নভাবে সেবা নিচ্ছেন। অনেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
×