অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবারও মন্দার কবলে পড়েছে ইউরো জোনের অর্থনীতি। বিশ্বব্যাপী নতুন করে বাড়তে থাকা করোনাভাইরাসের তা-ব সামাল দিতে না পেরে এই বেহাল অবস্থায় পড়েছে অঞ্চলটি। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে ইউরোজোনের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে দশমিক ৬ শতাংশ। ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয়বারের মতো এমন বৃহৎ সঙ্কচোনকে স্বাভাবিকভাবেই মন্দা বলে চিহ্নিত করা যায় বলে মনে বিশ্লেষকরা। সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, ইউরো জোনের অর্থনীতির এই বাজে অবস্থার মধ্যেও স্বাস্থ্য খাতের নাজুক অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিছুটা। আর এ কারণেই গতবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় বর্তমানে এই অঞ্চলের অর্থনীতি বেড়েছে ১১ শতাংশ। এটা সম্ভব হয়েছে, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ব্যবসায়ীরা তাদের কর্মকা- চালিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন উপায় বের করেছেন বলে।
মন্দায় পড়া ইউরো জোনের মধ্যে ইতালির অবস্থা বেশ খারাপ হলেও কয়েক দেশের অবস্থান তুলনামূলক ভাল। যেমন, ফ্রান্সের অর্থনীতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দশমিক ৪ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছে।
তবে, গতবছরের শেষ প্রান্তিকে বেশ নাজুক অবস্থানে ছিল দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম। ফ্রান্সের অর্থনীতির অল্প বিস্তর ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
ইতালির অর্থনীতি করোনা মহামারী আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে যত বড় ছিল এখনও তারচেয়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ ছোটই রয়েছে। মহামারীকালে কিছুটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছে জার্মানিও। গত জানুয়ারি থেক মার্চ, এই প্রান্তিকের হিসাব এখনও না পেলেও গতবছরের শেষ প্রান্তিক অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে, টিকাদান কর্মসূচী সম্প্রসারণের কল্যাণে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, এ কর্মসূচী সংক্রমণ রোধে দেয়া নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা যেমন কমিয়ে আনবে তেমনি আসছে গ্রীষ্মকালে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: