ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোল স্থলবন্দরে দু’বছর ধরে বন্ধ স্ক্যানার মেশিন

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ৩ মে ২০২১

বেনাপোল স্থলবন্দরে দু’বছর ধরে বন্ধ স্ক্যানার মেশিন

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল : বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে তিন বছর আগে বাংলাদেশকে ৪টি স্ক্যানার মেশিন অনুদান দেয় চীন সরকার। ২০১৮ সালে এর একটি মেশিন বসানো হয় বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশদ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম। মেশিনটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস বিনামূল্যে পরিচালনা করেছে ৬ মাস। পরবর্তীতে কাস্টমস ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সমঝোতায় না আসায় বেনাপোল স্থলবন্দরে দুই বছর ধরে বন্ধ আছে বাইপাস সড়কের মোবাইল স্ক্যানার মেশিন। অত্যাধুনিক এ স্ক্যানার মেশিন বন্ধ থাকায় বাড়ছে চোরাচালান কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নেই। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, স্ক্যানার মেশিন চালু রাখতে অর্থ বরাদ্দের জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতাদের দাবী, নিরাপদ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল রাখতে স্ক্যানিং কার্যক্রম চালু করা জরুরি। বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, স্ক্যানার পরিচালনার জন্য এখনো সরকারের বাজেট পাওয়া যায়নি। এনবিআর থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন করে চুক্তি হবে। টেন্ডার যাচাই-বাছাই করে এনবিআরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। যে কোনো স্থলবন্দরে স্ক্যানিং মেশিন থাকা খুব জরুরি। উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। রাজস্ব আসে ৫ হাজার কোটি টাকা। গত দু’বছরে আমদানি পণ্যের সঙ্গে লুকিয়ে আনা প্রায় ৩ টন ভায়গ্রা, ফেনসিডিল আটক করা হয়েছে।
×