ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেলের বগির প্রথম চালান ঢাকায়

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ২২ এপ্রিল ২০২১

মেট্রোরেলের বগির প্রথম চালান ঢাকায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের বগি এখন ঢাকায়। নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই মেট্রোরেলের বগির প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। বুধবার সন্ধ্যায় বগিগুলো উত্তরার দিয়াবাড়ির জেটিতে পৌঁছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রথম চালানে মেট্রোরেলের বগি আছে ছয়টি। কোচ বহনকারী বার্জ তুরাগ নদী হয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জেটিতে পৌঁছে। সেখান থেকে আগামী ২৩ এপ্রিল বড় ট্রলিতে করে উত্তরায় মেট্রো রেলের ডিপোতে নেয়া হবে। জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল বগিগুলো এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। গত ৪ মার্চ জাপানের কোবে বন্দর থেকে এমভি এসপিএম ব্যাঙ্কক নামের একটি জাহাজযোগে এসব বগি পরিবহন শুরু হয়।গত ২৪ মার্চ পায়রা বন্দরে বগিগুলো পৌঁছে। ছয়টি বগি নিয়ে পায়রা বন্দর থেকে জাহাজটি গত ৩০ মার্চ মোংলা বন্দরে পৌঁছে। ৩১ মার্চ এগুলো জাহাজ থেকে খালাস করা হয়। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়াশেষে নদীপথে বগিগুলোর পরিবহন শুরু হয়। সেখান থেকে বার্জে করে মেট্রো কোচ সেটগুলো ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। কোচগুলো বরিশাল ও চাঁদপুর হয়ে তুরাগ নদী দিয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল উত্তরার দিয়া বাড়িতে পৌঁছার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই কোচ বহনকারী বার্জটি উত্তরার জেটিতে পৌঁছে। রেলওয়ের কারগুলো জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম কোম্পানি লিমিটেড তৈরি করছে। আর বাংলাদেশে এই কোচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ঢাকার উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেলপথ স্থাপনের কাজ সবমিলে এগিয়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনে ও রাতে প্রকল্প এলাকায় কাজ চলছে। বিশেষ করে মিরপুর, আগারগাঁও অংশে কাজ অব্যাহত রাখতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুত সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুপাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানী স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন।
×