ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারী ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্যক্ত ও মারধরের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ, যুবক আটক

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২১ এপ্রিল ২০২১

নারী ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্যক্ত ও মারধরের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ, যুবক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত এক নারী ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আরেক ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের সামনের রাস্তা প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে শতাধিক বিক্ষুব্ধ ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টরা। ২১ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্যক্তকারী আরাফাত (২৩) নামে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আরাফাত শহরের নারায়ণপুর ফ্যাক্টরি মোড়স্থ মৃত আব্দুুল হামিদের ছেলে। জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সাইক মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ম্যাটসের শিক্ষার্থী পপি আক্তার (২১) জেলা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশীপ করছিলেন। তিনি হাসপাতালের পাশেই একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। বাসা থেকে হাসপাতালে যাতায়াতের সময় শহরের নারায়ণপুর এলাকার আরাফাত নামে এক যুবক পপিকে দীর্ঘদিন থেকে উত্যক্ত করে আসছিল। উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিছুদিন আগে পপির বন্ধু নাজমুল ইবনে হাফিজ শুভসহ কয়েকজনকে মারধরের হুমকি দেয় বখাটে আরাফাত। এরই জের ধরে বুধবার বেলা পৌণে ১টার দিকে পপির বন্ধু শুভকে হাসপাতাল থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে আরাফাত, হালিম ও রনিসহ কয়েকজন। পরে পপি ও শুভর শতাধিক সহপাঠী বিক্ষুব্ধ হয়ে জেলা সদর হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযান চালিয়ে উত্যক্তকারী আরাফাতকে আটক করে। শুভর বন্ধু ইন্টার্ন সাকিবুল হাসান, মিনহাজ উদ্দিন কিবরিয়াসহ কয়েকজন জানান, স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত আমাদের বান্ধবিকে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করে আসছিল। শুভসহ আমরা কয়েকজন এর প্রতিবাদ করায় জেলা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অবস্থায় শুভকে ডেকে নিয়ে আরাফাতসহ তার বন্ধুরা পিটিয়ে আহত করেছে। এর আগেও আমরা সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলাম। তখন পুলিশকে জানানোও হয়েছিল, কিন্তু এর প্রতিকার মেলেনি। আমরা ওই বখাটেদের সুষ্ঠু বিচার চাই। জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ খাইরুল কবীর সুমন জানান, ঘটনার বিষয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ পুলিশকে আগেও অবহিত করা হয়েছিল। এরপরও আজ স্থানীয় কিছু ছেলে হাসপাতালের এক ইন্টার্ন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর করেছে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই ঘটনায় আরাফাত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×