ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে কালোবাজারে বাংলাদেশের রেমডিসিভির, প্রতি পিস ২০ হাজার রুপী

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ২১ এপ্রিল ২০২১

ভারতে কালোবাজারে বাংলাদেশের রেমডিসিভির, প্রতি পিস ২০ হাজার রুপী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে ভারতে। একদিকে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, অন্যদিকে রোগীর চাপে ভরে গেছে হাসপাতালের শয্যাগুলো। তার ওপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ওষুধ সঙ্কট। করোনা চিকিৎসায় দেশটিতে রেমডিসিভিরের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কোম্পানিগুলো সেই চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে কালোবাজারে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধটি। গত শনিবার মধ্যপ্রদেশে রেমডিসিভির কালোবাজারির দায়ে এক চিকিৎসকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার পিস ওষুধও। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, উদ্ধার হওয়া ওষুধগুলো বাংলাদেশে তৈরি। সেগুলো কালোবাজারে প্রতি পিস ২০ হাজার রুপী পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ভারতের ইংরেজী সংবাদপত্র দ্য স্টেটসম্যানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালোবাজারিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ওষুধগুলোর গায়ে ‘ রেমিভির ১০০’ লেখা ছিল, যা রেমডিসিভির ইঞ্জেকশনের একটি ব্র্যান্ড। আর এটি উৎপাদন করে বাংলাদেশের এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, কিছু লোক বেআইনীভাবে চড়া দামে রেমডিসিভির বিক্রির চেষ্টা করছে বলে খবর পায় তারা। তখন ক্রাইম ব্রাঞ্চ ছদ্মবেশী ক্রেতা সেজে কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চুক্তি হয়ে গেলে এক পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে ওধুষ আনতে যান। তার হাতে একটি ইঞ্জেকশন তুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রেতা আটক করা হয়। ক্রাইম ব্রাঞ্চের এসপি গোপাল ধাকাড় জানান, আটক ব্যক্তির নাম সামি খান (৩০)। তিনি ১৮ হাজার রুপীতে রেমডিসিভির বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। অথচ একদিন আগেই ভারতীয় সরকার এর দাম ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪৯০ রুপী নির্ধারণ করে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সামি খানের তিন সহযোগী আখলাখ খান (২৪), নোমান খান (৩০) এবং এহসান খানকেও গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে এহসান খান পেশায় চিকিৎসক। অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, মূলত নোমান খানই রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন এনেছিলেন। তার কাছ থেকে অন্য তিনজন প্রতি পিস সাত হাজার রুপী করে কিনে নেন এবং সেগুলো অন্তত ১৮ হাজার রুপীতে বেচতে চাচ্ছিলেন। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওষুধগুলো বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়েছিল নাকি আন্তর্জাতিক কালোবাজারি চক্রের হাত ঘুরে এসেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। সেগুলো গত শুক্রবার ভুপালের সরকারী হামিদিয়া হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া ৮৬৩ ইঞ্জেকশনের অংশ কিনা তাও খুঁজে দেখবে পুলিশ।
×