ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিবারের ৫ জনকে এসিডে ঝলসে দিল মাদকাসক্ত

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২১ এপ্রিল ২০২১

পরিবারের ৫ জনকে এসিডে ঝলসে দিল মাদকাসক্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর লালবাগে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে এসিডে ঝলসে দিয়েছেন ওই পরিবারের মাদকাসক্ত এক ছেলে। এরপর নিজের শরীরেও এসিড ঢেলে দেন আলী হোসেন (৪০) নামে ওই মাদকাসক্ত। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ এক ব্যক্তির ফোন কলে পুলিশ তাদের ছয়জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। দগ্ধরা হচ্ছেন আলী হোসেনের মা মোমেনা বেগম (৭০), বোন জামিলা আক্তার (৩০), দুই ভাই আনোয়ার হোসেন (৫২), ইকবাল হোসেন (৪৫) ও ভাগ্নে সালেহীন (২০)। জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটায় রাজধানীর লালবাগের কাশ্মীটোলা লেনের ১৫ নম্বর বাসা থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, এখানে এক বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এর জেরে এক ব্যক্তি কয়েকজনের গায়ে এসিড মেরেছে। সংবাদ পেয়ে লালবাগ থানার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে জামিলা, ইকবাল ও সালেহীনের চোখের মধ্যে এসিড পড়ায় তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসিডদগ্ধ আলীকে পুলিশ হেফাজতে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার মা মোমেনা বেগমকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিত চন্দ্র জানান, আলী হোসেন মাদকাসক্ত। তিনি ব্যাটারি তৈরির একটি কারখানায়ও কাজ করতেন। ভোরে পরিবারের সঙ্গে তার ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে আলী হোসেন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত এসিডের পানি তার মাসহ পরিবারের পাঁচজনের শরীর ছুড়ে মারেন। এতে তারা দগ্ধ হন। পরে আলী হোসেন নিজের শরীরেও এসিড ঢেলে দেন। তাদের সকালে চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসে। চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসিডদগ্ধ তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসআই জানান, পরিবারের সবাই চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তাদের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আলী হোসেনকে আমাদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাত-পা বাঁধা অচেতন এক ব্যক্তি উদ্ধার ॥ কামরাঙ্গীরচরের মুন্সিরহাট এলাকার নদীর তীর থেকে সিফাত (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার রায় জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে খবর পেয়ে হাত-পা বাঁধা একজনকে মুন্সিরহাট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি। জরুরী বিভাগে নেয়ার পরে তার জ্ঞান ফিরলে জানান, তার নাম সিফাত। তিনি সিদ্দিক বাজার জুতার দোকানে কাজ করেন। স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের নোটিস নিয়ে থানায় যান। পরে থানা থেকে বের হয়ে চায়ের দোকানে যান। এরপরে কি হয়েছে আর বলতে পারেন না। জ্ঞান ফেরার পর সিফাত বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে আমি থানায় যাই। এরপর থানা থেকে বের হয়ে হাজী আওয়াল উদ্দিন কলেজের সামনে এসে চায়ের দোকানে বসি। এরপর পেছন থেকে নাকে-মুখে কিছু একটা দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে। পরে আর কিছু বলতে পারি না। আমার কাছে ৭০০ টাকা ও একটা ফোন ছিল, সেগুলো নিয়ে গেছে।
×