ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পৈশাচিক ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাংবাদিক ও তার পরিবার

লালমনিরহাটের সাংবাদিক শাহীনকে নির্যাতন ও মিথ্যা মাদক মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১৯ এপ্রিল ২০২১

লালমনিরহাটের সাংবাদিক শাহীনকে নির্যাতন ও মিথ্যা মাদক মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি

জনকন্ঠ রির্পোট, লালমনিরহাট ॥ দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা ও বাসস জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে কুলাঘাট বিশেষ বিজিবি’র ক্যাম্পে নিয়ে খুঁটির সাথে বেধে পৈশাচিকভাবে নির্মম নির্যাতনের পর এক বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। তাঁকে ও তার পরিবারকে হেয় করতে। এতেই ক্ষেন্ত হয়নি বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পের কর্মকর্তাও সদস্যগণ। তাঁকে মিথ্যা মাদক বিক্রির মামলা দিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনায় সাংবাদিক শাহীন ও তাঁর পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। এই তদন্ত করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নিরোপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত করে যেই দায়ী হউক তাঁকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। এখানে সুষ্টু তদন্তে যদি সাংবাদিক দায়ী হয় তাকেও দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি করা হয়। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন র্দীঘ প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি স্থানীয় একটি বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনা পেশায় জড়িত। ২০০৭ সালে ’তিস্তা পাড়ের জীবন চিত্র’ বিষয়ে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় তার লেখা অনুসন্ধানি সিরিজ রির্পোট প্রকাশিত হয়। এই প্রকাশিত রির্পোটের কারণে রংপুর বিভাগ উন্নয়ন সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়ে ছিলেন। এই সাংবাদিকতা জীবনে তার রয়েছে সুনাম ও সুখ্যাতি। তার লেখা রির্পোট গুলিতে জেলা পর্যায়ের মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে সাহসী ও সততার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার রির্পোটিংয়ের বিষয় বস্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামাজিক সমস্যা ভিত্তিক উন্নয়ন সাংবাদিকতা ও অনুসন্ধানী তথ্য নির্ভও সংবাদ হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে সীমান্ত, সীমান্তের মানুষ, সীমান্ত অপরাধ, সীমান্ত অর্থনীতি, সীমান্তের কর্ম, সীমান্তে বিজিবি’র দুসাহসিকতা, বিজিবি’র নানা প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে তার একাধিক সিরিজ রির্পোট বিভিন্ন সময় দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশ হয়ে ছিল। সীমান্তের মানুষ, সীমান্তের ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা, সম্প্রীতি, অর্থনীতি, অপরাধ বিষয় নিয়ে সাংবাদিক হিসেবে একটু বেশি কৌতুহল ও আগ্রহের কারণে আইন শৃংখলাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর সাথে তার পেশাদারিতের সহযোগিতা রয়েছে। রির্পোটিং বিষয়ে ক্রসচেক ও সত্য উদঘাটনে যাহা খুবেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সীমান্ত রির্পোট বিষয়ে তার আগ্রহের কথা জেলার সাধারণ মানুষসহ কমবেশি সকলেই জানেন। তার লেখা নজরকারা সীমান্ত রির্পোটিং : ১৯ শতকের শেষের দিকে জেলার পাটগ্রাম সীমান্তের বুড়িমারীর নাজির গোমানির সীমান্তে ১২৩ জন বাংলা ভাষা ভাষী দলবদ্ধ সাপুরে যাযাবর শ্রেণির কয়েকটি পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবাহিনীর সাথে মতপাথক্য দেখা দেয়। সেই সময় সীমান্তের এই ঘটনাকে মিডিয়া কর্মীরা পুশইন ও পুশব্যাক হিসেবে বিশ্ব জুরে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে এই একশত ২৩ জন মানুষের যারা আটক পড়ে ছিল তাদের মধ্যে বেশ কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-শিশু ও সদ্যজাত শিশু ছিল। তারা খোলা আকাশের নিচে দুই দেশের সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মানবেতর জীবন যাপন করেছিল প্রায় দুই মাস ধরে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তবাহিনী তাদের কোন দেশের মূলভূখন্ডে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। এই মানুষ গুলো কোন দেশের নাগরিক তাদেও কোন বৈধ স্বীকৃতি তাৎক্ষণিক দেখাতে ব্যর্থ হয়ে ছিল। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধদেহী ভাব নিয়ে অবস্থান নেয়। এই সাংবাদিক শাহীন সেই সময় দুই রাষ্ট্রের ও দুই দেশের সীমান্তবাহিনীর কোন সমালোচনা ছাড়াই। সমস্যার গভীরে গিয়ে মানবিকতা তার রির্পোটে তুলে ধনে। তাই এই খুরধারা রির্পোট করায় সেই সমস্যার মানবিক দৃষ্টি কোন হতে সমাধান হয়। ভারত সরকার তাদের ফিরিয়ে নেয়। রির্পোটের শিরোনাম ছিল সদ্য জাত এই শিশুটি যে নোম্যান্স ল্যান্ডের আজ রাতে জন্ম গ্রহন করেছে তার পরিচয় কি হবে। দীর্ঘ এই সাংবাদিকতায় ছিটমহল, সীমান্ত বাউন্ডারি, সীমান্ত গ্রামের সম্প্রীতি, সীমান্ত গ্রামের ধর্মীয় সম্প্রীতি, মানবতা, ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল, যুদ্ধাপরাধী, পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগি রাজাকার আলবদও, ধর্মান্ধতা, উগ্রমৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, রাজনৈতিক দূর্বৃত্তপনা, জামাত বিএনপির তান্ডবসহ ইত্যাদ্দি বিষয় প্রধান্য পায়। ২০১৪ সালে লালমনিরহাট সীমান্ত নিয়ে সীমান্ত গ্রাম শিরোনামে সিরিজ রির্পোট জনকন্ঠে প্রকাশিত হয়। এই রির্পোটের সূত্র ধরে তৎকালীন বিজিবি প্রধান আজকের সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ স্যার লালমনিরহাট সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন। তিনি বিজিবির ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। লালমনিরহাটে বিজিবিকে আধুনিকায়নে যানবাহন, ধরলা নদীতে স্প্রীটবোর্ড, মোগলহাট ও দূর্গাপুর সীমান্তে ৩টি বিজিবি’র বিওপি নতুন চেক পোষ্ট স্থাপন করেন। ধরলা নদীতে বাধ নির্মানের সহায়তা করেন। সেই সময় জেনারেল আজিজ আহম্মেদ স্যারের সাথে এই প্রতিবেদক কথা বলে ছিলেন। তাকে তিনি তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ছিলেন। বলে ছিলেন, কর্ম ব্যস্ততার কারণে তাৎক্ষণিক ফোন ধরতে হয়তো পারবনা। তুমি টেক্স মেসেজ দিও। সুবাধা মত সময়ে ফোন দিব। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ স্যার একজন মেজর জেনারের পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসেবে বিজিবি’র মহাপরিচাল থাকা অবস্থায় নিজের মোটর সাইলেক চালিয়ে মোগলহাট সীমান্তের মোগলহাট বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পে ও সীমান্ত পরির্দশন করে ছিলেন। তার এই সীমান্ত পরির্দশনের পর হতে লালমনিরহাট সীমান্তে ব্যাপক উন্নয়ন শুরু হয়। এমন কি সেই সময় বিজিবি’র মহাপরিচালকের আমন্ত্রণে দেশের ইতিহাসে সর্ব প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্গম সীমান্ত পানবাড়ি সীমান্তের বিওপি পরিদর্শন করে ছিলেন। দেশের কোন প্রধানমন্ত্রী এই দূর্গম সীমান্ত বিওপি ভিজিট প্রথম ছিল। বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি । প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক শাহীনের বৃদ্ধ বাবা অবসর প্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মী মোঃ আব্দুল ছালাম ও বৃদ্ধা মা মোছাঃ জয়গুন নেছা(৬৫) গৃহিনী আকুল আবেদন করে জানান, আমার ছেলে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন । পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক । সেই ছোট বেলায় স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে যায়। খুব কম সময়ে ছাত্র লীগের পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ছিল। শিক্ষা জীবনে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সামজিক ও সাস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল। তাকে পারিবারিক ভাবে উচ্চ শিক্ষায় সকল সহায়তা করেছি। দুই ভাই একই সাথে মানুষ হয়েছে। কখনো কোনদিন অন্যায়ের সাথে জড়িত হওয়ার খবর পাইনি। কথনো নেশা জাতীয় কোন কিছুর সাথে জড়িত থাকার খবর পাইনি। কারণ শাহীন ও শামীম দুই ভাইয়ের মধ্যে রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। খোঁজ নিয়ে দেখেন সাধারণ মানুষ বিশেষ কওে এলাকার মানুষ তাদেও দুই ভাই সম্পর্কে কি ধরণের উচ্চ ধারণা পোষন করেন। হঠাৎ করে শুনি বিজিবি সাংবাদিক শাহীনকে এক বোতল ফেন্সিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে উদ্ধারের মামলা দিয়েছে। বিজিবি’র কুলাঘাট ক্যাম্পে তাকে পৈশাচিক ভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। কুলাঘাট বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পটি কোন সীমান্ত ক্যাম্প নয়। এটি এইটি বিশেষ বিজিবি ক্যাম্প। এই ক্যাম্প হতে সীমান্তের দূরুত্ব প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার দুরে। পরিবারের সদস্যগণ বলেন, আমরা জানতে চাই বিজিবি’র কোন কোন সদস্য তাকে এভাবে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করেছে। কেন তারা তাকে নির্যাতন করল। সে অপরাধ করলে অপরাধের শাস্তি আইনের মাধ্যমে ভাবে। বিচার কেন বিজিবি নিজহাতে তুলে নিলেন। রাষ্ট্র ও সংবিধান তাদের কি এই দায়িত্বে কোথায় দিয়েছে। পরিবারের দাবি সেই দিন কি ঘটেছিল সেখানে জানতে চাই। এই ধরণের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানান। এতে যদি আমার ছেলে দায়ী হয় মেনে নিব। কুলাঘাট বিজিবি বিওপি ক্যাম্প প্রত্যাহারের দাবি। কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেযারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জোবেদ আলী জানান, কুলাঘাট বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পটি কোন সীমান্ত বিওপি ক্যাম্প নয়। বিজিবি’র বিশেষ বিওপি ক্যাম্প। এই বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত হাবিলদার আনোয়ার হোসেন ও তার ক্যাম্পের সদস্যদেও বিরুদ্ধে কুলাঘাট ইউনিয়নের মানুষের রয়েছে নানা অভিযোগ। তাকে অনৈতিক সযোগ সুবিধা না দিলে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। তার দুরব্যবহাওে বাজারের ব্যবসায়ীগণ ছিরেন অতিষ্ট। ৩০ জন গরুপাচারকারী, চোরাকারকারি ও মাদক পাচারকারীর তাকে প্রতিমাসে মোটা দাগে অর্থ দিত। পাচার কওে নিয়ে আসা ভারতীয় গরু জবাই করে সেই মাংসের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এই বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদারের সাথে কয়েকদিন আগে ঘটে ছিল অপ্রীতিকর ঘটনা। ষ্ট্রীল ব্রিজের পাশে একটি পাকা চেক পোষ্ট নির্মাণ কাজ চলছে। এই কাজের কথা বলে প্রায় ৩ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছে হাবিলদার আনোয়ার হোসেন। এই সব অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান, এখানে বিজিবি ক্যাম্পের কোন প্রয়োজন নেই। এটা সীমান্ত নয়। বিজিবি ক্যাম্পের পরিবর্তে এখানে একটি পুণাঙ্গ পুলিশ ফাঁড়ির দাবি জানান। দ্রুত বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পটি প্রত্যার করার দাবি তুলেন। বিজিবি’র ভিতরে তোলাপাড় ॥ দৈনিক জনকন্ঠ ও বাসসের প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা এক বোতল ফেন্সিডিল বিক্রির মামলা দিয়ে বিজিবি হাস্যরসে পরিণিত হয়েছে। তার সামাজিক মর্যাদায় এটা যায়না। ফেন্সিডিল বিক্রি কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। এই ঘটনাকে খোদ বিজিবি’র উর্দ্বতণ কর্মকর্তা গণ বিশ্বাস করছেনা। তারা এই ঘটনায় তদন্তে মাঠে নেমেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিজিবি’র ঢাকাস্থ কর্মকর্তা ও ঢাকার কয়েকজন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে মোবাইল ফোনে পরিচয় দিয়ে কথা বলেছেন। তারা এই ঘটনাকে অতি গুরুত্বপূণ মনে করে তদন্ত করছেন বলে জানান। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি ॥ লালমনিরহাট জেলার সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, জেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মী গণ , লালমনিরহাট প্রেসক্লাব সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলশ শাহীনের বিরুদ্ধে এক বোলত ফেন্সিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা মিথ্যা মামলা টি প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সাথে তার সাথে বিজিবি’র পৈশাসিক আচরণ, তাকে নির্মম নির্যাতন ও তাকে হেয় করতে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মত সামনে ফেন্সিডিল রেখে, অস্ত্রধারী বিজিবি সদস্য তার দিকে অস্ত্র তাক করে ছবি তুলে মিডিয়ায় প্রচার করা সংবিধান বিরোধী অপরাধ বলে মন্তব্য করে বিচার দাবি করেন। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। যারা বিবৃতি দিয়েচেন তারা হলেন, লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রব সুজন( প্রথম আলো), আবু হাসনাত রানা( ইনডিপেন্ডন্ট), আহমেদুর রহমান মুকুল( যুগের আলো মহনা টিভি), এস দিলীপ রায়( বাংলাভিশন ও ডেইলিষ্টার), মিলন পাটোযারী( নিউজ টুইন্টি ফোর ও মানব জমিন), হাসান উল আজিজ( আর টিভি), মোয়াজ্জেম হোসেন( বণিক বার্তা ও বাংলা টিউবিউন), মাহফুজ সাজু( মাই টিভি ও অভজারভার) , এসআর শরিফুল ইসলাম রতন ( দৈনিক আমার সংবাদ), আনোয়ার হোসেন স্বপন( এটিএন বাংলা ও কালের কন্ঠ), আলতাবুর রহমান( গাজী টিভি ও খবর পত্র), তৌহিদুল ইসলাম লিটন( বৈশাখি টিভি ও যাযযাযদিন দিন)সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক । তারা অবিলম্বে দায়ী জেলা সদরের কুলাঘাট বিশেষ বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আনোয়ার হোসেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ এমন ধৃষ্টতা কেন দেখালো তার সন্ধান করে দায়ীদের বিচার দাবি করেন। একই সাথে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিথ্যা এই মাদক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হওে সারা দেশের সংবাদ কর্মীগণ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এমন কর্মসূচি নিশ্চয় করোনাকালীণ সময়ে কারও প্রত্যাশা নয়।
×