ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৩ মে থেকে চা নিলাম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০২১

৩ মে থেকে চা নিলাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ০৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ২০২১/২২ চা নিলামবর্ষের প্রথম চা নিলাম। ওই চা নিলামবর্ষে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে ৪৭টি এবং শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে ২২টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে জুম এপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত টি সেলস কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ০৩ মে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রের ১ম নিলাম এবং ০৫ মে শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রের ১ম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে চায়ের উৎপাদন ও সরবরাহের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনানুযায়ী নিলাম সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো হবে। সভায় বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: জহিরুল ইসলাম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গতবারের মতো এইবারও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণপূর্বক চা নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য টিটিএবি ও টিপিটিএবিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনা সমুহ হলো- ক) নিলাম কেন্দ্র, ব্রোকার হাউজ এবং ওয়্যারহাউজে হাত ধৌত করার জন্য সাবান/সেনিটাইজার, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ সরকার কর্তৃক জারীকৃত সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সবাইকে জীবাণুমুক্ত হয়ে নিলাম কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে; খ) অকশন হাউজটি নিলাম শুরুর পূর্বে ও পরে জীবাণুনাশক স্প্রে করার মাধ্যমে পরিশোধন করে নিতে হবে; গ) নিলাম কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ন্যূনতম ৭ ফুট পর পর বসার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে বিদ্যমান নিলাম কেন্দ্রে সকলের জন্য জায়গা সংকুলান না হলে কোনো বড় হলরুমে নিলাম কেন্দ্র শিফট করতে হবে এবং ঘ) নিলাম চলাকালে নিলাম কেন্দ্রে শুধুমাত্র অপরিহার্য জনবলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিনি দ্রুত অনলাইন চা নিলাম সিস্টেম পরিপূর্ণরূপে চালু করার বিষয়েও নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চা বিপণন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ই-অকশনের বিকল্প নেই।” উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রের ২০২০/২১ নিলামবর্ষের সর্বশেষ নিলামটির একাংশ অনলাইন চা নিলাম সিস্টেমের মাধ্যমে চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী (যুগ্মসচিব) এর উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করা হয় । সভায় চা রপ্তানির উপর গুরুত্বারোপ করে রপ্তানিকারকগণকে বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা ও ট্রেন্ড বিবেচনায় এনে গুণগত মানসম্পন্ন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ চা উৎপাদন করতে হবে এবং উন্নত, আকর্ষনীয় ও আন্তর্জাতিক মানের চায়ের প্যাকেজিং ব্যবহার করতে হবে।” এ বিষয়ে বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী (যুগ্মসচিব) বলেন, “চা রপ্তানিকে বেগবান করতে চা বোর্ড সম্প্রতি বিবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চা ক্রয়ের ১৮০ দিনের মধ্যে চা রপ্তানি করার যে বাধ্যবাধকতা ছিলো, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে পত্রালাপের মাধ্যমে শিথিল করা হয়েছে। চা রপ্তানিকারকগণকে নগদ ভর্তুকি ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশী চায়ের গুণগত মান বজায় রাখার জন্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে এবং বিষয়টি চা বোর্ড হতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে”। উল্লেখ্য, গত ২০২০/২১ চা নিলামবর্ষে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্রে ৪২টি এবং শ্রীমঙ্গল চা নিলাম কেন্দ্রে ২০টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
×