ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জনকণ্ঠের লালমনিরহাট প্রতিনিধি শাহীনকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় সেনা প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৮ এপ্রিল ২০২১

জনকণ্ঠের লালমনিরহাট প্রতিনিধি শাহীনকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় সেনা প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকা ও বাসস জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে কুলাঘাট বিশেষ বিজিবি’র ক্যাম্পে নিয়ে খুঁটির সাথে বেধে নির্মম নির্যাতনের পর এক বোলত ফেন্সিডিল দিয়ে ছবি তুলে সামাজিক ভাবে হেয় করা হয়েছে। তাঁকে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে সদও থানায় সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনায় সাবাদিক শাহীন ও তাঁর পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দেশপ্রেমিক মানবতাবাদি সেনা প্রধান জেনারের আজিজ আহম্মেদ স্যারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পরিবারের দাবি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে যেই দায়ী হউক তাঁকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিতে হবে। এখানে সুষ্ট তদন্তে যদি সাংবাদিক দায়ী হয় তারও বিচার করতে হবে। সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন র্দীঘ প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। এই সাংবাদিকতা জীবনে তার রয়েছে সুনাম ও সুখ্যাতি। রির্পোটিংয়ে মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে সাহসী ও সততার ছোঁয়া পাওয়া যায়। তার রির্পোটিং বিষয়ে সীমান্ত, সীমান্তের মানুষ, সীমান্ত অপরাধ, সীমান্ত অর্থনীতি, সীমান্তের কর্ম, জীমান্তে বিজিবি’র দুসাহসিকতা, বিজিবি’র নানা প্রতিবন্ধকতা ফুটে উঠে। সীমান্ত বিষয় নিয়ে একটু আগ্রহের কারণে আইনশৃংখলাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর সাথেও পেশাদারিতের সহযোগিতা রয়েছে। বির্পোটিং বিষয়ে ক্রসচেক ও সত্য উদঘাটনে যাহা খুবেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তার লেখা নজরকারা সীমান্ত রির্পোটিং : ১৯ শতকের শেষের দিকে জেলার পাটগ্রাম সীমান্তের বুড়িমারীর নাজির গোমানির সীমান্তে ১২৩ জন বাংলা ভাষা ভাষী দলবদ্ধ সাপুরে যাযাবর শ্রেণির কয়েকটি পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবাহিনীর সাথে মতপাথক্য দেখা দেয়। এই একশত ২৩ জন মানুষের মধ্যে বেশ খিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-শিশু ও সদ্যজাত শিশু ছিল। তারা খোলা আকাশের নিচে দুই দেশের সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে মানবেতর জীবন যাপন করেছিল প্রায় দুই মাস ধরে। বাংলাদেশ ও ভারতীয় সীমান্তবাহিনী তাদের কোন দেশের মূলভূখন্ডে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলনা। সেখানে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধদেহী ভাব নিয়ে অবস্থান নেয়। এই সাংবাদিক শাহীনের খুরধারায় রির্পোট করায় সেই দিন ভারত তাদের ফিরিয়ে নেয়। রির্পোটের শিরোনাম ছিল সদ্য জাত এই শিশুটি যে নোম্যান্স ল্যান্ডের আজ রাতে জন্ম গ্রহন করেছে তার পরিচয় কি হবে। দীর্ঘ এই সাংবাদিকতায় ছিটমহল, সীমান্ত বাউন্ডারি, সীমান্ত গ্রামের সম্প্রীতি, সীমান্ত গ্রামের ধর্মীয় সম্প্রীতি, মানবতা ইত্যাদ্দি বিষয় প্রধান্য পায়। ২০১৪ সালে লালমনিরহাট সীমান্ত নিয়ে সীমান্ত গ্রাম শিরোনামে সিরিজ পির্পোট জনকন্ঠে প্রকাশিত হয়। এই রির্পোটের সূত্র ধরে তৎকালীন বিজিবি প্রধান আজকের সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ লালমনিরহাট সীমান্ত পরিদর্শনে আসেন। তিনি বিজিবির ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। লালমনিরহাটে বিজিবিকে আধুনিকায়নে যানবাহন, ধরলা নদীতে স্প্রীটবোর্ড, মোগলহাট ও দূর্গাপুর সীমান্তে ৩টি বিজিবি’র বিওপি নতুন চেক পোষ্ট স্থাপন করেন। ধরলা নদীতে বাধ নির্মানের সহায়তা করেন। জেনারেল আাগগ স্যারের সাথে এই প্রতিবেদক কথা বলে ছিলেন। তাকে তিনি তার মোবাইল নম্বর দিয়ে ছিলেন। বলে ছিলেন, কর্ম ব্যস্ততার কারণে তাৎক্ষণিক ফোন ধরতে হয়তো পারবনা। তুমি টেক্স মেসেজ দিও। সুবাধা মত সময়ে ফোন দিব। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হয়। নির্যাতিত সাংবাদিক শাহীন ও তার পরিবার ব্যক্তিগত ভাবে বিশেস ভাবে অনুরোধ করেছেন। সেনা প্রধাণ স্যার অত্যন্ত মানবিক ও দেশপ্রেমিক মানুষ। তার দেশপ্রেমের কারণে দেশের রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল হামিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা প্রধানের মত গুরু দায়িত্ব তাঁকে দিয়ে নিশ্চিত রয়েছেন। তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীকে সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও মানবিক সেনাবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাই সেনা প্রধানের কাছে সাংবাদিক শাহীনের বৃদ্ধা মা মোছাঃ জয়গুন নেছা(৬৫) আকুল আবেদন কওে জানান, আমি আমার ছেলে সাংবাদিক শাহীন ও বিজিবি’র কোন কোন সদস্য কে বা কারা দায়ী, কে দায়ী নয় তা বলিনি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যেই দায়ী হউক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। কি ঘটেছিল সেখানে জানতে চাই। এই ধরণের ঘটনার পূনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানান। নির্মম এই সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সূত্র পাত : এই ঘটনার সূত্রেপাতে ক্ষেত্র তৈরি হয় সেই মার্চ মাসে। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক দিল্লিতে সেই সময় অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় লালমনিরহাটের বেশ কয়েকটি সীমান্তে বিএসএফের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের গরুর রাখাল নিহত হয়। তার প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দেয় ভারতীয় গরু চোরাইপথে এনে দুই দেশের চোরাকারবারিরা কাটাতারের বেড়া কেটে পাড়করার প্রবনতাকে দায়ী করে। সেই সময় সীমান্তে গরু, মাদকসহ সীমান্তের নান অবৈধ ব্যবসা বেড়ে যায়। সাংবাদিক শাহীন ২১ মার্চ ও ২৫ মার্চ তার ফেসবুক দুইটি ষ্ট্যাটাট দেয়। এই নিয়ে কুলাঘাট বিজিবির বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যগণ ও বিশেষ করে বিজিবি’র কুলাঘট বিওপির হাবিলদার আনোয়ার হোসেন তার উপর ক্ষিত ছিল। এই নিয়ে সাংবাদিক শাহীন ১৫ বিজিবিৎর সিওকে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করে। এতেই ক্ষিপ হয়ে এই ঘটনার জন্ম হয়। সাংবাদিক শাহীনের ফেসবুক আইডি ও ১৫ বিজিবির অধিনায়ক তৌহিদুল আলমের হোয়াটসএ্যাপ মেসেঞ্জারের মেসেজ গুলো ঘটনার দিন ভোর চেক করলে এই ঘটনার সত্য উদঘাটন হবে। এই নির্যাতন সম্পর্কে মেখানে সকল প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে। বিজিবি কুলাঘাট ইউনিয়ন হাবিলদার আনোয়ার হোসেন নিজ রেষানলে পড়ে সাংবাদিককের এই দূরাবস্তা । কুলাঘাট বিজিবি ক্যাম্পের বিওপি : কুলাঘাট ইউনিয়নের প্যানেল চেযারম্যান জোবেদ আলী জানান, কুলাঘাট বিজিবি’র বিওপি ক্যাম্পটি কোন সীমান্ত রক্ষা করার টিম হয়। এখানে বিজিবি’র একটি অস্থায়ী বিওপি রয়েছে। এই বিওপিটি জনগণের কোন কল্যানে বা নিরাপত্তায় আসেনা। তারা আসে ১৫ দিনের জন্য। তারা ১৫দিন পরে চলে যায়। এই বিজিবি ক্যাম্পের কাজ হচ্ছে কুলাঘাট স্টেিলর ব্রীজটি এক মাথায় একটি বিওপি পোষ্ট বসিয়েছে। সেখানে তারা সর্বাক্ষনিক পাহাড়া দিতে দেখা যায়। এই বিজিবি”র ক্যাম্পটি সীমান্ত রক্ষায় বিশেষ কোনঅবদান নেই। এই বিজিবি ক্যাম্প নিয়ে বাজার এলাকার মানুষে হাজার রকমে অভিযোগ। এ কুলাঘাট বিওপি ক্যাম্পের অধিনে রয়েছে ৩০ জন গরুপাচারকারী, চোরাকারকারি ও মাদক পাচারকারী তার ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে ও সহায়তা পেতে প্রতিমাসে মোটা দাগে মাসোহারা দেয় আসছে। এখানে বিশেষ ক্যাম্পের কোন প্রয়োজন নেই। বরং এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প করার দাবি তুলেছে। কারণ এখানে রাস্তায় বসে বাজারের পাশে সদও থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক বাজার ও গ্রামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যেহেতু এটা কোন সীমান্ত গ্রাম নয়। এখানে বিজিবি ক্যাম্পের কোন প্রয়োজন নেই। এই ক্যাম্পের হাবিলদারের বিরুদ্ধে প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকা ও সম্প্রতি একটি ভারতীয় গরু বিক্রি করে গরু জবাই করে তার মাংস নিয়ে বিরোধের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাদ্যমে প্রচার পাচ্ছে ও ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাধারণ মানুষ কি মনে করছে। তাদের পাসপেকশন কি? সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে ১৬ এপ্রিল রাতে কুলাঘাট বিজিবি’র নির্যাতন ও মিথ্যা এক বোতল ফেন্সডিল দিয়ে মাদক মামলার বিয়টি নিয়ে বিজিবি’র এই দাবির প্রতি মানুষের কোন ছিটে ফোটাও বিশ্বাস নেই। এটা একজন শিশুও বিশ্বাস করবে না। সাধারণ মানুষ এটাকে সাংবাদিক সৎ সাহসী সংবাদকর্মীর উপর মিথ্যা বদনাম। পুলিশ কর্মকর্তা, একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা গণ বিষয়টিকে বিজিবি’র গুটি কয়েক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অবৈধ আয়, গরু পাচার, মাদক পাচার, হুন্ডি, নারী শিশু পাচার ও নানা সীমান্তের অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে জনমতকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে এইখানে সাংবাদিককে বলিরপাঠা করেছে। সীমান্ত মাফিয়ার অনৈতিক , অবৈধ কাজকে বৈধতা দিতে পথের কাটা সরাতে এই ভাবে সৎ ও সাহসী সাংবাদিককে সমাজে হেয় করা হয়েছে। তার পরিবার হুমকির মুখে। বিজিবি’র ভিতরে তোলাপাড় : দৈনিক জনকন্ঠ ও বাসসের প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা এক বোতল ফেন্সিডিল বিক্রির মামলা দিয়ে বিজিবি হাস্যরসে পরিণিত হয়েছে। তার সামাজিক মর্যাদায় এটা যায়না। ফেন্সিডিল বিক্রি কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। এই ঘটনাকে খোদ বিজিবি’র উর্দ্বতণ কর্মকর্তা গণ বিশ্বাস করছেনা। তারা এই ঘটনায় তদন্তে মাঠে নেমেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। বিজিবি’র ঢাকাস্থ কর্মকর্তা ও ঢাকার কয়েকজন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে মোবাইল ফোনে পরিচয় দিয়ে কথা বলেছেন। তারা এই ঘটনাকে অতি গুরুত্বপূণ মনে করে তদন্ত করছেন বলে জানান। একটি সূত্র জানান, কুলাঘাট বাজার বিওপি ক্যাম্পটি কোন সীমান্ত ক্যাম্প নয়। সেখান হতে সীমান্ত অনেক অনেক মাই দুওে প্রায় ১৩/১৫ কিলোমিটার দুরে। কেন এখানে এই ক্যাম্পটি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদো এখানে সীমান্ত বাহিনীর বিওপি ক্যাম্প প্রয়োজন আছে কিনা দেখা হচ্ছে। এই ক্যাম্পের সদস্যদের ইতিমধ্যে প্রত্যাহার করে হেড কোযাটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদেও বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে একটি সুত্রে জানা গেছে। এমন কি বিজিবি’র অধিনায়কের বিরুদ্ধের তদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে। উর্ধতণ গোয়েন্দা কর্মকর্তা গণ সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীনের সাথে ফোনে নানা বিষয় জানতে চায়। সাংবাদিক শাহীন তাদের সঠিক তথ্য জানিয়েছে। সাংবাদিক শাহীন দাবি সকরেন, তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাস, সিওকে দেয়া অভিযোগ, সিও সাহেবের দেয়া ফিরতি মেসেজ ও বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগের বিষয় গুলো তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিবেচনায় আনলে প্রকৃত সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এটা যে, ইনটেনশনালি বেরিয়ে আসবে। বেরিয়ে আসবে এই গভীর ষড়যন্ত্রের মূল মাষ্টারমাই›ড কারা। কিভাবে বলির পাঠায় পরিণিত করা হয় সাংবাদিক শাহীন কে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি : লালমনিরহাট জেলার সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, জেলায় কর্মরত সংবাদ কর্মী গণ , লালমনিরহাট প্রেসক্লাব সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলশ শাহীনের বিরুদ্ধে এক বোলত ফেন্সিডিল বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা মিথ্যা মামলা টি প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সাথে তার সাথে বিজিবি’র পৈশাসিক আচরণ, তাকে নির্মম নির্যাতন ও তাকে হেয় করতে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মত সামনে ফেন্সিডিল রেখে, অস্ত্রধারী বিজিবি সদস্য তার দিকে অস্ত্র তাক করে ছবি তুলে মিডিয়ায় প্রচার করা সংবিধান বিরোধী অপরাধ বলে মন্তব্য করে বিচার দাবি করেন। এসব বিষয়ে তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। যারা বিবৃতি দিয়েচেন তারা হলেন, লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক আবদুর রব সুজন( প্রথম আলো), আবু হাসনাত রানা( ইনডিপেন্ডন্ট), আহমেদুর রহমান মুকুল( যুগের আলো মহনা টিভি), এস দিলীপ রায়( বাংলাভিশন ও ডেইলিষ্টার), মিলন পাটোযারী( নিউজ টুইন্টি ফোর ও মানব জমিন), হাসান উল আজিজ( আর টিভি), মোয়াজ্জেম হোসেন( বণিক বার্তা ও বাংলা টিউবিউন), মাহফুজ সাজু( মাই টিভি ও অভজারভার) , এসআর শরিফুল ইসলাম রতন ( দৈনিক আমার সংবাদ), আনোয়ার হোসেন স্বপন( এটিএন বাংলা ও কালের কন্ঠ), আলতাবুর রহমান( গাজী টিভি ও খবর পত্র), তৌহিদুল ইসলাম লিটন( বৈশাখি টিভি ও যাযযাযদিন দিন)সহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক । তারা অবিলম্বে দায়ী জেলা সদরের কুলাঘাট বিশেষ বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার আনোয়ার হোসেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ এমন ধৃষ্টতা কেন দেখালো তার সন্ধান করে দায়ীদের বিচার দাবি করেন। একই সাথে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিথ্যা এই মাদক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হওে সারা দেশের সংবাদ কর্মীগণ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এমন কর্মসূচি নিশ্চয় করোনাকালীণ সময়ে কারও প্রত্যাশা নয়।
×