স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে স্বল্প পরিসরের ক্রিকেট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে ফিরেই কোন প্রস্তুতি ছাড়াই শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে হয়েছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ খেলতে। অবশ্য টেস্ট দলের নিয়মিত কয়েকজন সদস্য প্রথম শ্রেণীর আসর জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) দু’টি ৪ দিনের ম্যাচ পেয়েছেন। আর শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে কোয়ারেন্টাইনে থেকেই সীমিত পরিসরে দু’দিনের অনুশীলন শেষে শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ক্রিকেটাররা। যেহেতু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) থেকে প্রস্তুতি ম্যাচ রাখা হয়নি এবং কোন থ্রোয়ার, ক্রিকেটার ও সাপোর্টিং স্টাফও নেই তাই নিজেদের মধ্যেই ২ দিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচ। ২ টেস্টের সিরিজ শুরুর আগে এই ম্যাচটাই চূড়ান্ত প্রস্তুতি ক্রিকেটারদের জন্য। প্রথমদিনই দেখা গেছে ব্যাটসম্যানরা কঠিন ধৈর্য ধারণ করে সময় নিয়ে ব্যাটিং করলে ভাল কিছু করা সম্ভব হবে। কারণ তীব্র গরম ও উচ্চ আর্দ্রতার আবহাওয়ায় এর কোন বিকল্প নেই। সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়া তরুণ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এমনটাই মনে করেন।
২১ জনের প্রাথমিক দল নিয়ে যাওয়ার কারণে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই দল গড়তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন সাপোর্ট স্টাফকে নিতে হয়েছে। এমন একটি প্রস্তুতি ম্যাচও অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। কারণ ২ টেস্টের সিরিজ ২১ এপ্রিল শুরু হওয়ার আগে আর কোন প্রস্তুতি এত ভালভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। ম্যাচ প্র্যাকটিসের আবহে চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাওয়ার লড়াই ক্রিকেটারদের মধ্যে। প্রথমদিন লাল দলের হয়ে তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, মুশফিকুর রহিম ও শান্ত অর্ধশতক হাঁকিয়ে স্বেচ্ছাবসরে গেছেন। ৮২ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করা শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় খুব ভাল একটা প্রস্তুতি আমাদের টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে। যেটা করতে চেয়েছিলাম আজকে ব্যাটিংয়ে, ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পেরেছি। আশা করছি যে এইভাবে যদি ব্যাটিং করতে পারি তাহলে আমাদের টেস্ট ম্যাচের জন্য ভাল হবে।’ তবে আবহাওয়াটা বেশ কঠিন মানিয়ে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের জন্য এটা কাটিয়ে ওঠাই হবে চ্যালেঞ্জ। শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই আবহাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং। আসলে এটা নিয়ে বেশি কথা বলার সুযোগ নেই, কারণ এই আবহাওয়াতেই আমাদের খেলতে হবে। আজকের ম্যাচে শুরুর দিকে আমাদের বোলাররা ভাল বল করছে। আস্তে আস্তে যখন ২০/২৫ ওভার পেরিয়েছে ব্যাটিংটা অনেক সহজ ছিল।’
এমন আবহাওয়ায় ভাল করার উপায়টাও বুঝে গেছেন শান্ত। টেস্ট ম্যাচে সময় নিয়ে ব্যাটিং করা এবং সেশন বাই সেশন চিন্তা করে খেলাটা জরুরী বলে মনে করেন তিনি। শান্ত বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় টেস্ট খেলাটাই এরকম। যে যতটা ধৈর্য সহকারে, সময় নিয়ে ব্যাটিং বা বোলিং করবে সফল হওয়ার সম্ভাবনাটা ওই দলেরই বেশি থাকবে। আমার কাছে মনে হয় অত লম্বা চিন্তা না করে আমরা যদি সেশন বাই সেশন চিন্তা করি তাহলে আরেকটু সহজ হবে আমাদের জন্য।’