ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ে উচ্ছ্বসিত বাবর

প্রকাশিত: ০০:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০২১

দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ে উচ্ছ্বসিত বাবর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে দারুণ সময় পার করছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২-১এ ওয়ানডের পর ৩-১এ টি২০ সিরিজ জিতেছে বাবর আজমের দল। চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে ৩ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিরা। সেঞ্চুরিয়নে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের ১৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। উপমহাদেশের প্রথম দল হিসেবে দ. আফ্রিকায় টানা দুটি ও সর্বমোট তিনটি সিরিজ জিতল পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর কেবল নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজটি বাদ দিলে রঙিন পোশাকে তারা হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, জিম্বাবুইয়েকে, ড্র করেছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। অধিনায়ক বাবর জানিয়েছেন, ভারতে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপ (অক্টোবর-নবেম্বর) সামনে রেখে সঠিক পথেই আছে তার দল। ‘হ্যাঁ, আমাদের পারফর্মেন্স ওঠানামা করেছে। ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন কম্বিনেশন গড়তে এটি আমাদের অনেক সাহায্য করেছে এবং আমরা শেষ পর্যন্ত এখানে টানা দুটি সিরিজ জিতেছি। এটা দারুণ ব্যাপার। ভারতে এ বছর বিশ্বকাপ সামনে রেখে আমরা সঠিক পথেই আছি। আশাকরি সঠিক সময়ের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ একটা স্কোয়াড তৈরি হয়ে যাবে’ বলেন বাবর। পাকিস্তান কেন আনপ্রেডিক্টেবল, এই সিরিজেও সেটি দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। প্রথম টি২০তে এক বল আগে ৪ উইকেটের জয়, দ্বিতীয় ম্যাচেই ৬ উইকেটের বড় হার, তৃতীয় ম্যাচে ২০৩ রান টপকে জয় ৯ উইকেটে। আর শেষ ম্যাচে ১৪৫ রান করতে নাভিশ্বাস! তৃতীয় বলেই ইনফর্ম মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন বাবর ও ফখর জামান। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন ফখর। বিয়ন ফরচুনকে টানা দুই বলে ওড়ান ছক্কায়। পরে সিসন্দা মাগালাকে মারেন আরও দুটি। ২৭ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ঝড় থামান লিজাড উইলিয়ামস। উড়িয়ে মারার চেষ্টায় (৩৪ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৬০ রান) ধরা পড়েন কাভারে। দ্রুতই বদলে যায় চিত্র। ৩৭ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান পড়ে যায় হারের শঙ্কায়। সেখান থেকে দলকে কক্ষপথে ফেরান নওয়াজ। টাইমিং পেতে বেশ ভুগছিলেন তিনি। তারজন্য সহায় হয়ে আসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিসান্দা মাগালার ‘নো’ বল। প্রথম ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি হাসান আলি। পরেরটিতে ছক্কা মেরে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন নওয়াজ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। প্রথম ৪ বলে চার রান নেয় পাকিস্তান। পঞ্চম বলে ছক্কায় নওয়াজ দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। দারুণ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ফাহিম আশরাফ (৩/১৭)। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে সিরিজে সর্বোচ্চ ২১০ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন বাবর আজম।
×