ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৭ এপ্রিল ২০২১

মাদারীপুরে সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চিরঞ্জিত মোড়ল (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে দাবী করেছেন ছেলের পরিবার। শুক্রবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে তার পরিবার। শনিবার সকালে হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে রাজৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে সপ্তম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিবেশি কৃষ্ণ মোড়লের ছেলে চিরঞ্জিত মোড়ল (২৫)। এরপরে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষার্থীর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় চিরঞ্জিতসহ তার সহযোগিরা। পরে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত ২টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে চিরঞ্জিত। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যা করে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনার কঠির বিচার চাই।’ চিরঞ্জিত মোড়লের মা নয়নতারা মোড়ল বলেন, ‘আমার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনাটি সাজানো নাটক। মূলত ওই মেয়ের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। ১৫দিন আগে জমি সংক্রান্ত মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে মেয়েকে দিয়ে ধর্ষণের নাটক করেছে। মেয়েটি শুক্রবার রাত প্রায় ৮টার দিকে আমাদের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমরা তাকে ঘরে ঢুকতে দেই নাই। পরে সে পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে তার বাবা-কাকা এসে বাড়িতে নিয়ে যায়।’ মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত দুইটার দিকে এক স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’ রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদী বলেন, শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার বিকেলে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা। এর আগে শিক্ষার্থী নিখোঁজ হবার পর পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। শুক্রবার রাতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন।’
×