ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুরে পশুহাট দখলের চেষ্ট, ১১ মটরসাইকেলসহ আটক ৩

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৭ এপ্রিল ২০২১

কেশবপুরে পশুহাট দখলের চেষ্ট, ১১ মটরসাইকেলসহ আটক ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ শনিবার কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া পশুহাট দখলের চেষ্টা করা হয়। দখলের চেষ্টার সময় সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এ সময় দখলদারদের ব্যবহৃত ১১টি মটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। কেশবপুর থানার ওসি জসিমউদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জানা গেছে, ২০১৮ সালে সাতবাড়িয়া বাজারের পূর্বপাশে ২১ শতক জমির ওপর সাতবাড়িয়া পশুহাট স্থাপত করা হয়। পরবর্তীতে আরও দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে হাটটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকার চেযারম্যান সামছুদ্দীন দফাদারের প্রচেষ্টায় মশিয়ার রহমান দফাদার, আব্দুর রশিদসহ ২০-২৫ জন ব্যক্তি পশুহাটটি গড়ে তোলেন। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। এ হাটে আশপাশের ২৫-৩০ গ্রামের মানুষের গরু, ছাগল কেনাবেচা হয়ে আসছে। প্রতিহাটে শতাধিক গরু ও ৬০ থেকে ৭০টি ছাগল বিক্রি হয়। হাটের যাবতীয় আয় চেয়ারম্যান সামছুদ্দীনের পকেটে যায়। কারণ হাটটি সরকারের তালিকাভুক্ত নয়। ২০১৯ সালে হাটটি ডাকে আসার জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে কাগজপত্র জমা দেয়া হয়। সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও পশুহাট কমিটির সভাপতি সামছুদ্দীন দফাদার অবৈধ পশুহাটের কথা স্বীকার করে বলেন, গত ৮ এপ্রিল পৌরসভার রামচন্দ্রপুর এলাকার লিটন গাজী ২৮ হাজার ৭০০ টাকায় সাতবাড়িয়া কাঁচা বাজারের ইজারা পান। সাতবাড়িয়া কাঁচা বাজারের সাথে পশু হাটের কোন সম্পর্ক না থাকার পরও গত ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় লিটন গাজী ৩০-৩৫ জন যুবক নিয়ে পশুহাটটির দখল নিতে যায়। একপর্যায়ে হাট কমিটির লোকজন ও লিটন গাজীর লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষের রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। শনিবার সকালেও তারা ১০/১৫টি মটরসাইকেলযোগে পুনরায় ওই হাটের দখল নিতে যায়। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার ওসির নের্তৃত্বে একদল পুলিশ সাতবাড়িয়া পশুহাট অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগে কাঁচা বাজারের ইজারাদার লিটন গাজী, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ ও সাবেক মেম্বার মোহাম্মদ আলীকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ১১টি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, পশুহাটে আবেদন ভূমি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছিল তবে তার কোন অনুমতি এখনো আসেনি। শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
×