ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ মালবাহী ভলগেট ও ঢালচরে যাত্রী পারাপারের ট্রলার ডুবি

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১৭ এপ্রিল ২০২১

ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলায় আজ শনিবার ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে সরে যায়া। এতে করে ভোলা-লক্স¥ীপুর নৌ রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও ভোলার মেঘনায় পাথরবাহী একটি ভলগেট ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নে ঘাটে থাকা যাত্রী ও মালামাল পারপারের ট্রলারের একাংশ ডুবে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো: কামরুলজ্জামান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ফেরির পল্টুন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পুনরায় স্থাপনে বরিশাল থেকে একটি টিম রওয়ানা হয়েছে। বিকাল নাগাদ এসে তারা মেরামত কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। ভোলা ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক মো: পারভেজ জানান, ঝড়ে ফেরিঘাটের পল্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভোলা-লক্স¥ীপুর রুটের ফেরিচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুই প্রান্তে আটকা পড়েছে শতাধিক পন্যবাহি গাড়ি। পল্টুন মেরামত হলে রাতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে। অপর দিকে ভোলার মেঘনা নদীতে ঝড়ে কবলে পরে পাথরবাহী ভলগেট ডুবে যায়। পাথরগুলো ভোলার মেঘননদী ভাঙ্গর রোধে ব্লকের কাজে ব্যবহার করার জন্য আনা হচ্ছিল। ইলিশা ফেরিঘাটের নৌ-পুলিশ ইনচার্জ সুজন চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের জানান, কিশোরগঞ্জে থেকে এমভি জেআরবি নামের একটি ভলগেট পাথর নিয়ে ভোলার জোড়খাল এলাকায় কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে নিখোজঁ হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতর খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ঢালচরে মো: আজিজের একটি ট্রলার ঘাটে বাধা ছিলো। শনিবার সকালে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রচন্ড বাতাসের কারনে পানির চাপে ট্রলারের নিচ তলা ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ট্রলারের স্টাফরা দড়ি দিয়ে বেধে রাখেন। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ টার মালামালের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ঢালচর ইউনিয়র আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য কাউছার ফরাজী জানায়, কাল বৈশাখী ঝড়ের কারনে লঞ্চ ডুবে যাওয়ায় ঢালচর ইউনিয়নের সাথে মূল ভুখন্ড চরফ্যাশন উপজেলার সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে। এই ট্রলারটি ছিলো ঢালচর বাসীর যোগাযোগের অনত্যম মাধ্যম। স্থানীয়রা জানান, ঢালচরের মানুষের সুবিধার্থে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ঢালচর থেকে চরফ্যাশনের কচ্ছপিয়া ঘাটে যাত্রী ও মালামালে আনা নেয়ায় এই দুই তলা ট্রলারটি লঞ্চের মতো সার্ভিস দিয়ে আসছিলো। মূলত ঢালচরে কোন শাখা খাল না থাকায় নদীর পাশে ঘাট করতে হয় লঞ্চ কিংবা মাছ ধরার নৌকা গুলোকে। এতে প্রায়ই ঝড়ে কবলে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
×