ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও আগের মতো চড়া সবজির বাজার

রমজানের শুরুতেই কমলো ছোলা ও খেজুরের দাম

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১৬ এপ্রিল ২০২১

রমজানের শুরুতেই কমলো ছোলা ও খেজুরের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রমজানের শুরুতেই কমলো ছোলা ও খেজুরের দাম। দাম কমে প্রতিকেজি ছোলা জাত ও মানভেদে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৫০-৩৫০ টাকায়। দাম আরও কমার আভাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রোজার আগে প্রতিকেজি ছোলা ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে লকডাউনে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ৮০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। শসা, টমেটো, বেগুনের মতো সবজির সরবরাহ থাকলেও অতিরিক্ত দামের কারণে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। একমাত্র আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এছাড়া পামওয়েল সুপার তেল, আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কমেছে। বোতলজাত সয়াবিন, মশুর ডাল, আদা, ডিম এবং মুরগির দাম বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার, গোড়ান বাজার এবং খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুওে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে লকডাউনে রাজধানীর ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সারাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক আসছে ঢাকায়। দেশের অন্যান্য স্থানে ভোগ্যপণ্য সরবরাহ হচ্ছে। তবে বাজারে একমাত্র আলুতে এখন ভোক্তাদের স্বস্তি মিলছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে -২০ টাকায়। কয়েকমাস আগেও চড়া মূল্যে ক্রেতাদের আলু কিনতে হয়েছে। আগের মতো চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে পাকিস্তানি কক ও দেশী মুরগি। তবে চাল, চিনি ও আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছ-মাংসও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। পবিত্র রমজান মাসের আগে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়ে। এবারও দাম বেড়েছে, তবে সেটা হুট করে নয়, বরং সময় নিয়ে দুই মাস ধরে একটু একটু কওে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। গোড়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা টিটু জনকণ্ঠকে বলেন, সব ধরনের শাকসবজি এখন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। লকডাউন চলছে, তাই মালামাল আগের মতো আসছে না। এভাবে চলতে থাকলে রমজান মাসের আগে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে। ওই বাজারের মুদিপণ্যের ব্যবসায়ী জামাল বলেন, রমজানের আগে খেজুর ও ছোলার দাম বাড়লেও এখন কমে আসছে। কেজিতে ছোলার দাম কমেছে মানভেদে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। একই অবস্থা খেজুরের বাজারে। এখন দেশীফল বিশেষ করে তরমুজ ও বাঙ্গী পাওয়া যায় কেউ অন্য কোন ফল কিনতে চাচ্ছে না। এছাড়া এবার খেজুর আমদানি হয়েছে বিপুল পরিমাণ। এ কারণে রমজানে দাম পড়ে গেছে। বাজারে সরু মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৬০-৭০, মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৫-৬০ এবং মোটা মানের স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৪৮-৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন দাম বেড়ে ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটারের ক্যান ৬৪০-৬৬০, পেঁয়াজ দেশী প্রতিকেজি ৪০-৪৫, পেঁয়াজ আমদানি প্রতিকেজি ৩০-৩৫, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি দাম কমে ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি মশুর ডাল ৭০-১২০, চিনি ৬৮-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ছোলা ৬৫-৭০ এবং খেজুর মানভেদে ১৫০-৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশী মুরগি আগের মতো ৪০০-৫০০ এবং পাকিস্তানি কক ২৯০-৩৫০ এবং গরু ৫৮০-৬০০ এবং খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। জানা গেছে, রমজান ভর্তুকি মূল্যে ৬টি বিক্রি করেছে সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি। নতুন দর অনুযায়ী একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া রমজান উপলক্ষে দুই কেজি ছোলা প্রতিকেজি ৫৫ টাকা দরে এবং এককেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে পাচ্ছেন।
×