স্টাফ রিপোর্টার, নারায়নগঞ্জ ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফরিয়াদ করেছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওবায়দুল হক সরকার। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ১৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের নোটিস দেয়া হয়েছে। অধিগ্রহণের নোটিস দেয়া জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি শতাংশ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। অথচ অধিগ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণের মূল্য নির্ধারণের ৫ বছর আগের মৌজা তালিকা অনুসরণ করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে শতাংশ প্রতি মাত্র ৬৬ হাজার ৪ ’শ টাকা। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তার শেষ সম্বল এই ১৬ শতাংশ জমি যদি নামমাত্র মূল্যে অধিগ্রহণ করা হয় তাহলে তার পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার জমি অধিগ্রহণমুক্ত ঘোষণা করা হোক। যদি একান্তই অধিগ্রহণ করা হয় তবে যেন ২০২০ সালে উক্ত মৌজায় যে দলিলগুলো রয়েছে সেই মূল্যের ভিত্তিতে ভূমি অধিগ্রহণরে মূল্য স্থির করার ব্যবস্থা হোক। নিরুপায় হয়ে এই বয়োবৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আাবেদন করে খোলা চিঠি দিয়ে লিখেছেন।
খোলা চিঠিটি দেয়া হলো
আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ওবায়দুল হক সরকার, পিতামৃত এছহাক মিয়া, সাং কুতুবপুর, পোঃ কাঁচপুর, থানা সোনারগাঁ, জেলা নারায়ণগঞ্জ। হরিপুর ৪১২ মেঃওঃ কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্রের স্টোর, ওপেন ইয়ার্ড স্টোর ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বন্দর থানাধীন (নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকা) মৃধাবাড়ী মৌজাস্থ, যার জে.এল নং ০১, ক্রমিক নং ১২, খতিয়ান নং ৫৫, দাগ নং ১০২ (পূর্ণ), জমির শ্রেণী বাড়ি, যেখান থেকে আমার ১৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং অধিগ্রহণের ১ম ও ২য় নোটিস তারা আমাকে দিয়েছে। অধিগ্রহণের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে বন্দর সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক ১৪/১২/২০১৬ইং তারিখে প্রস্তুতকৃত ৫ বছর আগের একটি মৌজা তালিকা অনুসরণ করা হচ্ছে। যেখানে প্রতি শতাংশ বাড়ির মূল্য ৬৬,৪০০/- টাকা দেখানো হচ্ছে। যেখানে গত ৫ বছরে ভূমি বিক্রয়ের কোন দর ভলিউমে তোলেনি। মৌজার মূল্য অনুসরণ করতে চাচ্ছে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি ২০২০ইং থেকে জানুয়ারি ২০২১ইং-এর মধ্যে উল্লেখিত মৃধাবাড়ী মৌজার ৩টি ভূমি বিক্রয়ের দলিল আমার সংগ্রহে আছে, হয়তো আরও দলিল পাওয়া যাবে। যার নাম্বার ৪৬৮৮, ৪৮২১ ও ৫০৩২।