ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না রোগীদের

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০২১

হাসপাতালে ঠাঁই মিলছে না রোগীদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। মৃত্যু ও আক্রান্তে প্রতিদিনই নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। মুহূর্তে এভাবে রোগী বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই মিলছে না রোগীদের। ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ দূরের কথা, মিলছে না সাধারণ বেডও। মন্ত্রী, এমপি, সচিবের তদ্বিরেও কাজ হচ্ছে না। এ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছেন স্বজনরা। ঘুরে-ফিরে যখন বেড মিলছে না, তখন বাধ্য হয়ে কোন হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিচ্ছেন তারা। নিজেরাই অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে রোগী দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্বজনরা রোগীর জন্য একটি বেডের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা চাতক পাখির মতো দুঃসহ সময় পার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সরকারীভাবে ডেডিকেটেড ঘোষিত করোনা হাসপাতালে গত সপ্তাহ থেকেই সব আইসিইউ বেড পূর্ণ। খালি নেই এখন করোনা ইউনিটের সাধারণ বেডও। কারও মৃত্যু কাম্য নয়, তবুও যেন কারও মৃত্যুর খবরে আইসিইউ বেড খালি হবে ভেবে অপেক্ষায় সময় পার করছেন রোগীর স্বজনরা। মঙ্গলবার দুপুরে করোনা ডেডিকেটেড ঢামেক হাসপাতাল-২ এর সামনে ঘুরে দেখা গেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে অসংখ্য রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বাইরের বেঞ্চে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে যাচ্ছেন। তীব্র গরমে হাতপাখা দিয়ে স্বজনরা রোগীকে বাতাস করছেন। অপেক্ষায় বেলা গড়ালেও সবার ভাগ্যে জুটছে না কাক্সিক্ষত বেড। অন্যদিকে বেসরকারী হাসপাতালের ১৭৩টি আইসিইউ শয্যায় রোগী ভর্তি ১৬২টিতে। আইসিইউ শয্যা ফাঁকা মাত্র ১১টি। নয়টি হাসপাতালের মধ্যে ধানম-ির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের ২২টি আইসিইউ বেডের সবগুলোতে, আসগর আলী হাসপাতালে ১৮টির সবগুলোতে, স্কয়ার হাসপাতালের ১৯টির মধ্যে ১৮টিতে, ইবনেসিনা হাসপাতালের সাতটির সবগুলোতে, ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫টির সবগুলোতে, এভার কেয়ার হাসপাতালের ২১টির মধ্যে ১১টিতে, ইমপালস হাসপাতালের ৫২টির সবগুলোতে, এ এম জেড হাসপাতালের ১০টির ১০টিতে এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের নয়টির সবগুলোতেই রোগী ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারী হাসপাতালে সাধারণ ৮৭১টি শয্যার মধ্যে রোগী ভর্তি আছেন ৭১৬ জন।
×