ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকেই নিচ্ছেন চিকিৎসা

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১৩ এপ্রিল ২০২১

বরিশালে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়িতে থেকেই নিচ্ছেন চিকিৎসা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলায় নতুন করে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দ্বিতীয় দফার এ ঢেউয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবিক অর্থে রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার মতো কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। তাই এনিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা করেছেন সচেতন বরিশালবাসী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন কিংবা যারা মুমূর্ষ তাদের বাহিরে হাসপাতালে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম। এ বিষয়ে বাসদ’র জেলা শাখার সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী বলেন, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেশন করাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সে যদি ইচ্ছেমতো বাহিরে ঘোরাঘুরি করে তাহলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। পাশাপাশি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আগেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এবারেও সে রকম কিছু দেখা যাচ্ছেনা। জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্তির পর করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে তা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ঘরে বসে চিকিৎসা নিতে চাইলে তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হওয়া বেশিরভাগ রোগী বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘরে বসে যারা চিকিৎসা নিতে আগ্রহী তাদের মোবাইল ফোনে চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি সচেতনতা ও সতকর্তামূলক পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। আর সচেতনতা ও সতকর্তামূলক পরামর্শের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা ঘরে রাখাসহ সুস্থ্য হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সার্বিক তথ্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে, যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করতে না পারে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের হিসেবে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া ৩১ জনের মধ্যে মাত্র একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আবার নতুন করে যে ১২ জন সুস্থ হয়েছেন তারা সকলেই বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়েছেন। গত সাত দিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনার লক্ষণ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন রোগীরা। একই সাথে বাড়িতে থেকেই বেশিরভাগ রোগী সুস্থ্য হচ্ছেন। উল্লেখ্য, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৭৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৫ জনের। জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৩২ জনের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে মাত্র ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
×