ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি চার সংগঠনের

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ১১ এপ্রিল ২০২১

পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি চার সংগঠনের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে বাধ সাধেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা। তাঁরা দাবি করেন, কারখানা বন্ধ করলে ক্রয়াদেশ হারাবে বাংলাদেশ। তাছাড়া শ্রমিকেরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে রবিবার বেলা তিনটায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। এতে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অংশ নেন। বৈঠক শেষে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘১৪ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন হলেও শিল্প কারখানা চলবে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনে শিল্প কারখানা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এ ছাড়া ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। তাতে আমদানি রপ্তানিতে সম স্যা হবে। এ বিষয়েও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।’ এর আগে দুপুরে লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় পোশাক খাতের চার সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ইএবি। বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইএয়ের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআইএয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও ইএবি’র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শিদী, বিজিএমইএ’র নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম উসমান, প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি এম এ রহিম ফিরোজসহ তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, করোনা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপ, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো রাষ্ট্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের সমন্বয়ের অভাব নেই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। আরও বলা হয়, সেন্টার ফর বাংলাদেশ, ইউকে বার্কলি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ মতে, ৯৪ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গাইডলাইন বিষয়ে সচেতন। ৯১.৪২ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, কারখানা থেকে তাদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
×