ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ভোজ্য তেলে কর প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১১ এপ্রিল ২০২১

ভোজ্য তেলে কর প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভোজ্য তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে সয়াবিন ও পাম তেলে আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে প্রযোজ্য ৪ শতাংশ অগ্রিম করের পুরোটাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এ সুবিধা কেবলমাত্র ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে। এর ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। রবিবার এনবিআর চেয়ারম্যান আবু মো. হেনা রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের অংশ হিসেবে এনবিআর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা যায় এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্তে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমবে। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রস্তাবনাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে আরোপিত কর ও ভ্যাট যৌক্তিক হারে নির্ধারণের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের বাজার অস্থিতিশীল থাকায় দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাস্বার্থ বিবেচনায় ভোজ্য তেলের মূল্য সীমা নির্ধারণ করে দেয় সরকার।
×